তেজগাঁও রেলগেট থেকে সাতরাস্তা সড়ক বেহাল

তেজগাঁও রেলগেট থেকে সাতরাস্তা সড়ক। সড়কটির প্রস্থ কোথাও ১৪০ ফুট। যেখানে সবচেয়ে কম সেখানে ৭৮ ফুট। কিন্তু পথচারীর জন্য আছে সামান্যই। সড়কের দু'পাশ দখল করে পার্ক করা হয় ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ হরেক যানবাহন। রাস্তাটি যেন টার্মিনালের দায়িত্ব নিয়েছে। যত্রতত্র পার্কিংয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীকে। অথচ সড়কটির পাশেই রয়েছে বিশাল ট্রাকস্ট্যান্ড। সন্ধ্যার পর থেকে এখানে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট। ভোগান্তি বাড়ে সাধারণ পথচারীর।


পার্কিংয়ের কারণে রাস্তার অবস্থাও বেহাল। সর্বত্রই ভাঙাচোরা। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদায় মাখামাখি। গত সোমবার সরেজমিন রাস্তাটি ঘুরে এ চিত্রই দেখা গেল।
দিনের বেলায় রাস্তার দু'পাশে অলস সময় কাটালেও সন্ধ্যার পর ট্রাকগুলো বের হয় পণ্য পরিবহনে। তখনই সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। তারপরও নির্বিকার চালক মালিক সবাই। দু'পক্ষই দায়ী করল পরস্পরকে। চালক সমিতির সভাপতি তালুকদার মোহাম্মদ মনির রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানোর জন্য দায়ী করেন মালিক সমিতির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ তাফাজ্জলকে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ট্রাক টার্মিনালকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে দাবি করেন হাজি মোহাম্মদ তাফাজ্জল। আমরা ট্রার্মিনালে গাড়ি রাখতে গেলে তিনি গাড়ি রাখতে দেন না। ফলে বাধ্য হয়েই গাড়ি রাখতে হয় রাস্তায়। এ অভিযোগ অস্বীকার করেন মালিক সমিতির সভাপতি তাফাজ্জল। তার দাবি, যে জায়গাটুকু টার্মিনাল হিসেবে চিহ্নিত তার কিছু অংশ তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাস্তার দু'পাশে গাড়ি রাখা বন্ধ হয়েছিল_ এ প্রসঙ্গে তালুকদার মোহাম্মদ মনির বলেন, তখন র‌্যাব ছিল। র‌্যাবের চাপে কেউ ট্রাক রাস্তায় রাখত না। মালিক সমিতির সভাপতিও তখন বাধা দেননি। এখন তিনি ট্রাক রাখতে দিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে মেরামতের কাজও করতে হচ্ছে রাস্তায়।
স্থানীয় সদ্য সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমীন সমকালকে জানান, টার্মিনালটি অবৈধ। এ ব্যাপারে বহুবার চিঠি দিয়েও কোনো ফল হয়নি।
একই তথ্য জানান তালুকদার মোহাম্মদ মনির। তিনি জানান, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সাংসদ আসাদুজ্জামান খান কামাল একাধিকবার রাস্তা দখল মুক্ত করতে চিঠি দিয়েছেন; কিন্তু মালিক সমিতির কারণে কোনো ফল হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.