চট্টগ্রাম বিক্রি হলো ১২ লাখ ডলারে

দ্ভুত বৈপরীত্য। একদিকে মৃত্যু, অন্যদিকে উৎসব। গতকাল বিপিএল নিলামে এক বিন্দুতে মিলে গেল। বিসিবির প্রধান নির্বাহী মঞ্জুর আহমেদের আকস্মিক মৃত্যুর শোক-বিহ্বলতার মধ্যেই স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো বিপিএল নিলাম, যার নীরব কিন্তু গুরুত্বময় উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে পারত, সেই মঞ্জুর আহমেদের মৃত্যুর পাথুরে শোক বুকে নিয়েই টি২০-র বিনোদন ক্রিকেট জগতে পা রাখল বাংলাদেশ ক্রিকেট।


বাংলাদেশ এর আগে টিভি পর্দায় আইপিএল অকশন দেখেই অভ্যস্ত ছিল। অতটা জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও বিপিএল অকশনটা ছিল নিজের মতো করে সুন্দর এবং রঙবাহারি। দেশের প্রথম কোটিপতি এ লীগের দল কিনতে উপস্থিত ছিল টেন্ডার কেনা নয়টি প্রতিষ্ঠান। যদিও এগুলোর মধ্যে তিনটি কোম্পানিকে নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। দল কিনতে পেরেছে মাত্র ছয়টি কোম্পানি। সবচেয়ে বেশি ১২ লাখ মার্কিন ডলার দিয়ে তামিম ইকবালের দল চট্টগ্রামকে কিনেছে এসকিউ স্পোর্টস কোম্পানি। এরপর ১০ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিয়ে আশরাফুলের ঢাকাকে কিনে নিয়েছে এগ্রো প্রসেসর কোম্পানি ইউরোপা গ্রুপ। সাকিব আল হাসানের খুলনাকে কিনেছে ওরিয়ন গ্রুপ। দুটি কোম্পানির সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে ১১ লাখ ডলার দিয়ে খুলনার স্বত্ব কিনেছে ওরিয়ন। মুশফিকুর রহিমের রাজশাহীকে পেতে ১০ লাখ ৭০ হাজার ডলার খরচ করেছে ডিজিটাল অটো কেয়ার। সিলেটকে ১০ লাখ ৬০ হাজার ডলার দিয়ে নিজেদের করে নিয়েছে দেশীয় ইলেকট্রনিক কোম্পানি ওয়ালটন। নিলামে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হয়েছে বরিশাল। ১০ লাখ ১০ হাজার ডলার দিয়ে বরিশালকে কিনেছে আমদানি-রফতানিভিত্তিক কোম্পানি আলিফ গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানগুলো ছয় বছরের জন্য দল পরিচালনার স্বত্ব পেয়েছে। যদিও নিলামের অর্থ তারা প্রথম বছরের জন্য বিসিবিকে হস্তান্তর করবে। নিলামে দল বিক্রির পর বিপিএল গভর্নিং
কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু তৃপ্ত কণ্ঠে বলেছেন, 'যেহেতু ফ্রাঞ্চাইজি ব্যাপারটা আমাদের দেশে নতুন। সেহেতু প্রথমবারের মতো এ দাম পাওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি দলগুলো দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের সমন্বয় করে ভালো একটি টুর্নামেন্ট উপহার দেবে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য।'
১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে বিপিএল টুর্নামেন্ট। ঠিক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে মতোই দলগুলো কিনে নেওয়ার পর মালিকরাই তাদের পছন্দমতো দলের নাম ও খেলোয়াড় ঠিক করবেন। এরই মধ্যে ডিজিটাল অটো তাদের নতুন দলটির নাম রেখেছে 'রাজশাহী ওয়ারিয়র্স'। ফ্রাঞ্চাইজিরা বিপিএলের মোট আয়ের ৪০ শতাংশ পাবে। এ ছাড়াও আয়ের অন্য উৎসও থাকবে। জার্সি-ট্রাউজারে ১০টি লোগো ব্যবহারের সুযোগ পাবে ফ্রাঞ্চাইজিরা। জার্সি বিক্রির অর্থ যাবে মালিকদের হাতে। মাঠে বিলবোর্ডও পাবে দুটি। এ ছাড়া থাকছে টিভি স্বত্ব এবং টিকিট মানি । ক্লাব মালিকরা লাভের ব্যাপারে আশাবাদী। দেশি দর্শকদের জন্য বিপিএলের টিভি স্বত্ব পেয়েছে চ্যানেল নাইন। তবে বহির্বিশ্বে এ টুর্নামেন্ট দেখাবে টেন স্পোর্টস কিংবা সেট ম্যাক্স।

No comments

Powered by Blogger.