আবার পাঠকসংখ্যা-মাছের তেলে মাছ ভাজা

বারের পাঠকসংখ্যার বিষয় ছিল অমাদের সবার প্রিয় ‘তেল’। তেল নিয়ে অসংখ্য লেখা পাঠিয়েছেন পাঠকেরা। এ জন্য অবশ্য তাঁদের কোনো ধরনের তেল দিতে হয়নি। তবে অনেক লেখক আছেন, তেল না দিলে লেখা দিতে চান না। ‘আপনার অমুক লেখাটা যা হয়েছে না, বস্! একেবারে পাঠ্যপুস্তকে স্থান পাওয়ার মতো। ও রকম আরেকটা লেখা দিন না। এটা তো আপনার কাছে কোনো ব্যাপারই না। ১০ মিনিটের কাজ...।


’ লেখা আদায়ের জন্য এ ধরনের আরও কত কথা বলা লাগে! অথচ আমাদের পাঠকেরা কত্ত ভালো! কোনো একটা বিষয় ধরিয়ে দিলেই হল। লেখা নিয়ে কোন চিন্তাই করতে হয় না। লেখা আসবেই। তাঁদের পাঠানো লেখাগুলো দিয়ে কত সহজে একটা সংখ্যা বেরিয়ে গেল! আহ! কী আরাম! একেই বলে মাছের তেলে মাছ ভাজা! এ জন্যই কবি লিখেছিলেন এমন পাঠক কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি! আসলেই তা-ই। এই পাঠকরাই আমাদের বিলুপ্তপ্রায় ডাক বিভাগকে এখনো টিকিয়ে রেখেছেন। শুধু তা-ই নয়, এই পাঠকই টিকিয়ে রেখেছেন রস+আলো এবং এর আইডিয়াবাজদেরও। নইলে পাঠকসম্প্রদায় যদি লেখা শুরু করত তাহলে রস+আলোর আইডিয়াবাজদের অন্য রাস্তা দেখতে হতো। হয়তো জীবিকার তাগিদে আদ্দিস আবাবার কোন রম্য ম্যাগাজিনের আইডিয়াবাজ হিসেবে কাজ করতে হতো। কিন্তু পাঠকরা রাজনৈতিক নেতাদের মতো অবিবেচক না। তাই তাঁরা আইডিয়াবাজদের কথা ভেবেছেন। এ জন্যই আমরা পাঠক-পাঠিকাদের এত ভালোবাসি। আমরা খুব ভালো করেই জানি যে, রস+আলো বিশ্বের সেরা রম্য ম্যাগাজিন না হলেও আমাদের পাঠকেরা বিশ্বের সেরা। প্রিয় পাঠক, বিশ্বাস করুন, এতক্ষণ যে কথাগুলো বললাম, তার এক বর্ণও কিন্তু মিথ্যে নয়। আমরা আপনাকে একটুও তেল দিচ্ছি না। আমরা পাঠকদের তেল দিই না। পাঠক তো সরকারি আমলা নন যে তাঁদের তেল দিতে হবে। যা হোক, এই তেল সংখ্যায় লেখা পাঠানোর জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। যাঁদের লেখা ছাপা হয়েছে তাঁদের অভিনন্দন। যাদেরটা হয়নি, তাদেরও অভিনন্দন। মনে রাখবেন, পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত লেখকের লেখাও রস+আলোতে ছাপা হয়নি। তবে এটাই শেষ নয়। আপনাদের জন্য আরও পাঠকসংখ্যা আছে। পরবর্তী পাঠক সংখ্যার বিষয় রম্যগল্প। যে কোন বিষয়ে রম্যগল্প লিখে পাঠাতে হবে ২ জানুয়ারি ২০১২ তারিখের মধ্যে। লেখা পাঠান। ডাক বিভাগকে বাঁচিয়ে রাখুন।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
রম্যগল্প
রস+আলো, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

No comments

Powered by Blogger.