মুন্সিগঞ্জের চার খাল-দখলমুক্তির দাবিতে সাংসদসহ সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভায় চারটি খাল দখলমুক্ত ও পুনর্খননের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সাংসদ এম ইদ্রিস আলীসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন ও শ্রেণী-পেশার মানুষ। দাবি আদায়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন গতকাল শনিবার স্বাক্ষর করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও মুন্সিগঞ্জ-১ (সদর ও গজারিয়া উপজেলা) আসনের সাংসদ এম ইদ্রিস আলী।


গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার বিনোদপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত ওই গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে আরও স্বাক্ষর করেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ কালাম, কৃষক লীগের জেলা সভাপতি মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক প্রশাসক মহসিন মাখন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুল কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক হোসেন মুকুল মৃধা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান সুমন, বিনোদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মো. গিয়াসউদ্দিন প্রমুখ।
স্বাক্ষর দেওয়া শেষে সাংসদ এম ইদ্রিস আলী বলেন, ‘মিরকাদিমের এ খালগুলো দখলমুক্ত করতে আমি জেলা প্রশাসক ও মিরকাদিম পৌরসভার মেয়রকে বলেছিলাম। আমি বলার পর ভূমি অফিস খালের সীমানা নির্ধারণ করে দখলবাজদের তালিকা তৈরি করা শুরু করে।’
গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর শেষের পাতায় ‘নয়নের খাল আর নয়ন জুড়ায় না’ শিরোনামে মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমের চারটি খাল নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। খালগুলো দখলমুক্ত ও পুনর্খননের দাবিতে মিরকাদিম খাল রক্ষা কমিটির উদ্যোগে ওই দিন থেকে আন্দোলনে নামে এলাকাবাসী। দাবি আদায়ে পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে খাল রক্ষা কমিটি। তাদের উদ্যোগে গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।
গতকাল বিনোদপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছাড়াও মিরকাদিমের বিভিন্ন স্থানে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। কর্মসূচির তৃতীয় দিনে আজ রোববার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
মিরকাদিম খাল রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব মাহফুজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই দিনের গণস্বাক্ষরে এলাকার সাংসদ, বর্তমান পৌর মেয়র, সাবেক মেয়র, প্রশাসক, প্রায় সব ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাসহ দুই হাজার ১০ জন লোক স্বাক্ষর দিয়েছেন। এমন সব লোকের স্বাক্ষর দেওয়াই প্রমাণ করে, খালগুলো দখলবাজদের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুনর্খনন করা হোক। আমরা আশা করছি, খাল দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে প্রশাসন আর কালক্ষেপণ করবে না।’

No comments

Powered by Blogger.