চিমনি ভেঙে দেওয়ার পরও থেমে নেই ইট পোড়ানো

ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে দেওয়ার পরও সেগুলো ফের চালু করা হচ্ছে। বরগুনা সদরে এমন তিনটি এবং নোয়াখালীর সেনবাগে একটি ইটভাটায় আবারও ইট পোড়াতে দেখা গেছে। গত ৪ ডিসেম্বর বরগুনা সদর উপজেলার তিনটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ড্রাম চিমনি ভেঙে ফেলেন।


পাশাপাশি মালামাল জব্দ করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। উপজেলার কুমড়াখালী এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত যে তিনটি ভাটা ভেঙে দেন, তার মধ্যে মেসার্স আনোয়ার ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা ছিল। ভেঙে ফেলার ১৫ দিন যেতে না যেতেই পুনরায় ড্রাম চিমনি দাঁড় করিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয় সেখানে। ভাটার মালিক আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘অল্প দিনের মধ্যেই জিগজাগ চিমনি করে ফেলব।’
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের চিলাদি গ্রামে এইচবিএমসিএল নামের ইটভাটাটি অবস্থিত। এর মালিক ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল মজুমদার।
২৬ ডিসেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর নোয়াখালী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ইটভাটাটি বন্ধ করে দেন। অভিযানের সময় মালিকপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে চৌমুহনী থেকে ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যদের এনে ভাটার আগুন নেভানো হয়।
সম্প্রতি ভাটা এলাকায় কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। তাঁরা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর প্রায় দুই সপ্তাহ ভাটাটি বন্ধ থাকে। এরই মধ্যে হেলাল মজুমদার শ্রমিকদের দিয়ে পুনরায় ভাটাটি চালুর উদ্যোগ নেন। তিন-চার দিন আগে ভাটায় নতুন টিনের চিমনি স্থাপন করে পুনরায় ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয়।
ইটভাটাটির তত্ত্বাবধায়ক ফজলুর রহমান স্বীকার করেন, ভাটাটি সম্পূর্ণ অবৈধ।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা জানান, একবার বন্ধ করে দেওয়ার পর কীভাবে অবৈধ ভাটাটি চালু হলো, তা দেখার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের।’

No comments

Powered by Blogger.