দক্ষিণ আফ্রিকার বনে নতুন টারজান

প্রিয় সঙ্গী হাতিকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বনবাদাড় চষে বেড়াচ্ছেন নতুন এক টারজান। ঝুলে বেড়াচ্ছেন এক গাছ থেকে আরেক গাছে। খাচ্ছেন ফলমূল আর পোকামাকড়। পরে আছেন সিংহের চামড়ার কৌপিণ। গল্পের চরিত্র নয় বাস্তবের এই টারজান চার বছর আগেও ছিলেন আধুনিক সমাজের একজন মানুষ। তাঁর নাম ডিওয়েট ডু টয়ট। ২৪ বছর বয়সী এই যুবক ছিলেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের একটি সুপার মার্কেটের নিরাপত্তাপ্রহরী।


ডু টয়ট বড় হয়েছেন আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ায়। তাঁর বাবার কাছে বিখ্যাত মার্কিন লেখক এডগার রাইস বারোজের লেখা টারজানের বিভিন্ন বইয়ের একটি বড় সংগ্রহ ছিল। এসব পড়তে পড়তে ছোটবেলা থেকেই টারজানের ভক্ত হয়ে পড়েন ডু টয়ট। তবে একসময় পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে। সেখানে একটি সুপার মার্কেটের নিরাপত্তাপ্রহরীর কাজ করতেন। কিন্তু এ কাজে তাঁর মন বসছিল না। মনে হলো, তাঁর জন্য বনই সবচেয়ে ভালো জায়গা। তাই ২০০৭ সালে চলে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার জর্জ এলাকায়। চলে যান বনে।
ডু টয়ট বলেন, ‘মানুষ বলতে পারে আমি উন্মাদ হয়ে গেছি। কিন্তু আমি জানি, এটা করার জন্যই আমি জন্মেছি। টারজানকে আমি খুব পছন্দ করি।’
ডু টয়ট আরও বলেন, ‘বনে আমার প্রিয় বন্ধু একটি হাতি। ওর নাম সাকা। এ ছাড়া বাঁদর, জেব্রা ও কুমিরের সঙ্গেও আমি অনেক সময় কাটাই।’
‘উৎসব অনুষ্ঠান করে মৌজমাস্তি করা আমার পছন্দ নয়। আমি কখনো মদ পান করিনি। জঙ্গলে যেসব ফলমূল পাই, সেগুলোই খেতে পছন্দ করি। কোন কোন পোকামাকড় খাওয়া যায় তা-ও আমি জানি।’
সাবেক বডিবিল্ডার ডু টয়ট তাঁর জঙ্গলের জীবন ক্যামেরাবন্দীও করেছেন। স্বপ্ন দেখছেন তাঁর এই বীরত্ব নিয়ে হলিউডে সিনেমা তৈরি হবে।
ডু টয়ট বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমি একটু একাকিত্ব বোধ করি। সময় কাটানোর জন্য একটা জেন পেলে ভালো হতো।’ জেন বইয়ের টারজানের প্রেমিকা। অরেঞ্জ অনলাইন।

No comments

Powered by Blogger.