ব্যবসায়ী আফতাব হত্যা মামলা-দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর দাবি বাদীর

মিরপুরের ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর দাবি করেছেন নিহত ব্যক্তির ভাই ও মামলার বাদী আফরোজ উদ্দিন। এ ব্যাপারে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির (পিপি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ৩ অক্টোবর ব্যবসায়ী আফতাব হত্যা মামলার সব আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।


পরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ওসমান গণিকে বাদ দিয়ে অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করা হলে ওই বছরের ২৯ নভেম্বর আদালত তা মঞ্জুর করেন। এতে মামলার এক নম্বর আসামি ওসমান গণি অব্যাহতি পান। কিন্তু পরে হাইকোর্ট এই দুটি আদেশ বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। ফলে সব আসামির বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী আফরোজ উদ্দিন তাঁর ভাই আফতাব হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য আবেদন করেন। এর প্রতিকার না পেয়ে তিনি ১৫ জানুয়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। শুনানির পর ১৬ জানুয়ারি বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারি করেন। ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আবেদন কেন নিষ্পত্তি করা হবে না এবং ওই মামলাটি কেন পরিবেশ আপিল আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে না, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন।
আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, হত্যা মামলাটি কেন পরিবেশ আপিল আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
২০০৫ সালের ডিসেম্বরে মিরপুর ২ নম্বরের নিজ বাসার সামনে খুন হন ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন। ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত ব্যক্তির ভাই আফরোজ উদ্দিন। বর্তমানে মামলাটি পরিবেশ আপিল আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আফতাব উদ্দিন মিরপুর ১ নম্বরের মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
প্রথম আলোতে এ নিয়ে একাধিক প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্ট রুল ইস্যু করেন। মামলার নথিপত্রও তলব করা হয়। এরপর মূল মামলার বাদীর পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন মঞ্জুর করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.