খিলগাঁও ফ্লাইওভার-নির্মাণেই দায়িত্ব শেষ হয় না

রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভার নিয়ে উদ্বেগের কিছুটা নিরসন হয়েছে। এক দশমিক নয় কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির স্প্যান আধা ইঞ্চি নেমে যাওয়ার ঘটনাটি নজরে আসার পর কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে এর ওপর দিয়ে যান চলাচল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর বিশেষজ্ঞরা সেতুটি পর্যবেক্ষণ করে এটি কোনো গুরুতর সমস্যা নয় চিহ্নিত করার পর শনিবার দুপুর ১টা থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।


তবে ১০ টনের বেশি ভারী যানবাহন এর ওপর দিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেতুর স্প্যান নেমে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা এর ওপর দিয়ে অতিরিক্ত ভারী যানবাহন, বিশেষ করে ২০-২৫ টন লোহার রডবোঝাই ট্রাক চলাচলকে দায়ী করেন। একই কথা খাটে রাজধানীর অন্যান্য ফ্লাইওভারের বেলায়ও। নিয়মনীতি মেনে এসব সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করে না। তদুপরি কর্তৃপক্ষও সেতু নির্মাণ করেই তাদের দায়িত্ব শেষ হয়েছে মনে করে। এগুলোর ওপর দিয়ে নির্দিষ্ট ওজনের অতিরিক্ত যান নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা কার্যকর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থাই নেননি প্রথম দিকে। গণমাধ্যম সরব হওয়ার পর কর্তাব্যক্তিরা আড়মোড়া ভেঙে দায়সারা গোছের ব্যবস্থা নেন। সেতুগুলোর দুই পাশে দুটি বাঁশের স্প্যার লাগিয়েই তারা দায়িত্ব সারেন। এসব বাঁশের স্প্যার রাতের বেলা উঠিয়ে নিয়ে ভারী ট্রাকের চলাচলে তেমন অসুবিধাই হয় না। আমরা অবিলম্বে রাজধানীর ফ্লাইওভারের রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই। সেতুর দুই পাশে দুটি বাঁশের স্প্যারের পরিবর্তে লোহার স্প্যার লাগানো হোক। আর সেতুগুলোর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য এর দুই পাশেই জনবল নিয়োগ করা হোক। গোটা ব্যবস্থাটি নিয়মিত পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করলে এসব সেতু যানবাহন চলাচল উপযোগী থাকবে বলে আশা করা যায়। তবে খিলগাঁও সেতুর স্প্যান নেমে যাওয়ার ঘটনাটিকে হালকাভাবে দেখা উচিত নয়। বিষয়টি নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।
 

No comments

Powered by Blogger.