পথে আর ভয় নেই নারীদের

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির এক স্কুলছাত্র দাবি করেছে, সে যে যন্ত্র আবিষ্কার করেছে, তা হামলাকারীদের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করতে সহায়তা করবে। যন্ত্রটি হাতঘড়ির মতো ব্যবহার করা যাবে। হামলাকারীর ত্বক স্পর্শ করামাত্র এটি বৈদ্যুতিক শক দেবে। মানু বলেছে, রাস্তায় নারীদের নিরাপদে চলাচলের ক্ষেত্রে এ যন্ত্র কাজে দেবে।
মানু চোপড়া নামের ওই কিশোর (১৬) বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে বলেছে, রাতে নারীরা ঘরের বাইরে যেতে ভয় পায়, এটি লজ্জাজনক। সে বলে, ‘আমার বোনকেও শুধু নিরাপত্তার কারণে সন্ধ্যার পর বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। এই হলো রাজধানীর পরিস্থিতি।’
মানু জানায়, যন্ত্রটি তৈরি করতে তার প্রায় ছয় দিন লেগেছে। সে আশা করছে, এটি বাজারে ১২২ রুপিতে বিক্রি করা যাবে।
দিল্লির জিডি গোয়েনকা স্কুলের এই শিক্ষার্থী বলে, ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশনের (এনআইএফ) একটি জাতীয় প্রতিযোগিতা সামনে রেখে তার মাথায় এ যন্ত্রটি তৈরির বুদ্ধি আসে। সরকারি এ ফাউন্ডেশন সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের জন্য শিশুদের পুরস্কৃত করে থাকে।
মানুর উদ্ভাবিত যন্ত্রটি এরই মধ্যে সবার নজর কেড়েছে। এখন এটি বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা চলছে। তবে এনআইএফ বলেছে, মানুর উদ্ভাবিত যন্ত্রটির কার্যকারিতা প্রমাণে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা লাগবে।
ভুক্তভোগীর নাড়ি ওঠানামা ও স্নায়ুচাপ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেলে ‘নিগ্রহ প্রতিরোধক’ এ যন্ত্রটি সক্রিয় হয়। পরে এটি কার্যকর করে তুলতে হামলাকারীর দেহের কোনো অংশে এর ডায়ালের স্পর্শ করলেই হবে।
মানু বলেছে, যন্ত্রটি হামলাকারীকে বৈদ্যুতিক শক দেবে। এটির সঙ্গে একটি ক্যামেরাও যুক্ত করা আছে। ফলে এর সাহায্যে হামলাকারীর ছবি তুলে রাখা যাবে। হামলাকারী প্রতিরোধক যন্ত্র উদ্ভাবনের পর মানু এখন তার বোনকে নিয়ে অনেকটাই চিন্তামুক্ত। সে বলেছে, ‘আমার বোন এখন রাস্তায় যেকোনো লোককে ধরাশায়ী করতে পারবে।’ বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.