‘ব্যর্থ অ্যাশেজ’ শাপে বর অস্ট্রেলিয়ার জন্য

ভারতকে ৪-০তে ধবলধোলাই করে অ্যাশেজ যন্ত্রণা ভুলে গেছে অস্ট্রেলিয়া। গত বছর এই সময়টায় ইংল্যান্ডের হাতে নাকালটা তো কম হতে হয়নি!  ভালো সময়ে দাঁড়িয়ে মাঝেমধ্যে খারাপ সময়ের দিকে ফিরে তাকাতে হয়। অস্ট্রেলিয়া তাই এই মুহূর্তে ফিরে দেখছে অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-১-এ হেরে যাওয়া অসম্মানের সেই সময়টার দিকে।


অ্যাশেজ সিরিজে হেরে যাওয়ার পর বিরাট এক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট। দলের খোলনলচেই পাল্টে দেওয়া হয়েছে। মাইকেল ক্লার্ক স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন রিকি পন্টিংয়ের। জেমস প্যাটিনসন, পিটার সিডল, বেন হিলফেনহস, রায়ান হ্যারিস—এই চতুষ্টয় গড়ে তুলেছেন দারুণ এক গতি আক্রমণ। ডেভিড ওয়ার্নার নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দারুণ মারকুটে এক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে। পন্টিংও যেন পেয়েছেন ক্যারিয়ারে নতুন উদ্যম। দুই বছর বাজে সময় কাটানোর পর সর্বশেষ দুটি টেস্টে একটি ডাবল ও একটি সেঞ্চুরি তাঁর। ক্লার্ক অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়।
‘অ্যাশেজের ব্যর্থতাটা আখেরে ভালোই কাজে লেগেছে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতে অ্যাশেজের দুঃখ ভুলে গিয়েছি।’ মাইকেল ক্লার্কের মন্তব্য। পরিসংখ্যানই বলছে, অ্যাশেজ সিরিজের পর পরিবর্তন অস্ট্রেলীয় দলে দারুণ কাজে এসেছে। দলটি ঘাত-প্রতিঘাত পার হয়ে এগিয়ে চলেছে নিজেদের অবিসংবাদিত সেরার হারিয়ে ফেলা পূর্বের অবস্থান ফিরে পাওয়ার দিকে।
ক্লার্কের মতে, ‘আমাদের পথচলা সবে শুরু হয়েছে। পথ পাড়ি দিতে হবে এখনো অনেকখানি। দলীয় ও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স—উভয় দিকেই উন্নতির অনেক সুযোগ রয়ে গেছে।’
নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে সন্তুষ্টি আছে ক্লার্কের। ফর্ম নিয়েও দারুণ উচ্ছ্বসিত। তবে সচেতন রয়েছেন ভবিষ্যতের খারাপ সময় নিয়েও। ‘গত বছর অ্যাশেজে ভালো ফর্মে ছিলাম না। এবার ভারতকে আমার অধিনায়কত্বে ৪-০তে হারিয়েছি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে। ভবিষ্যতে অনেক খারাপ সময় আসবে, যাবে।’ ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.