ঘাটশ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

ট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ১৬টি বেসরকারি ঘাটে ডাকা লাগাতার কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে ঘাট ও গুদামশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। বস্তাপ্রতি পণ্য খালাসে শ্রমিকদের মজুরি ২০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণার পর এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।


গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম চেম্বার মিলনায়তনে শ্রমিক, ঠিকাদার ও আমদানিকারকদের সঙ্গে এক বৈঠক থেকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাহবুবুল আলম। সমঝোতা বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ এম এ লতিফ।
১০০ শতাংশ মজুরি বাড়ানোর দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে ঘাটশ্রমিকেরা কর্মবিরতি শুরু করেন। কর্মবিরতির কারণে গত দুই দিনে কর্ণফুলী নদীতে আটকা পড়েছিল সোয়া লাখ টন পণ্যবাহী ৯০টি লাইটার জাহাজ। এসব জাহাজ থেকে গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার কোনো পণ্য খালাস হয়নি।
সমঝোতা বৈঠক প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ২০ শতাংশ মজুরি বাড়ানোর শর্ত দুই পক্ষই মেনে নিয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন মজুরিহার কার্যকর হবে।
কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা স্বীকার করে চট্টগ্রাম ঘাট ও গুদামশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মো. আলমগীর শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ৯০ কেজি পণ্যভর্তি বস্তা খালাসে সাড়ে সাত থেকে টাকা মজুরি বাড়িয়ে নয় টাকা করা হয়েছে। একই ভাবে বস্তাপ্রতি সব মজুরি ২০ শতাংশ বাড়ানোর কারণে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১৬টি ঘাটে পণ্য খালাসকাজ শুরু হবে।
শ্রমিক-নিয়োগকারী ঠিকাদারেরা জানান, আমদানিকারকেরা এই ২০ শতাংশ মজুরি পরিশোধ করতে রাজি হয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.