এক হাজারকে ভিত্তি ধরে নতুন মূল্যসূচকের সুপারিশ by সুজয় মহাজন

ক হাজার পয়েন্টকে ভিত্তি ধরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিদ্যমান সাধারণ মূল্যসূচকের পরিবর্তে নতুন মূল্যসূচক চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন বছর থেকে নতুন এই সূচক চালুর সুপারিশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) গঠিত কমিটি। গতকাল কমিশনের এক বৈঠক কমিটির পক্ষ থেকে তাদের সুপারিশের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করা হয়। এ সময় কমিশনের সদস্যরা খুঁটিনাটি নানা বিষয়ে কমিটির মতামত


জানতে চান। কমিশনের একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ডিএসইর ভুল সূচক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হয়েছে। এতে বিদ্যমান সূচকের পরিবর্তে সম্পূর্ণ নতুন সূচক চালুর পক্ষেই জোরালো মতামত রয়েছে। কেননা, ডিএসইর বিদ্যমান সূচকের ভুল সংশোধন খুবই জটিল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’
এসইসির ওই সদস্য আরও বলেন, কমিশন এখনো এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। এ নিয়ে ডিএসই কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেকের মতামত নেওয়া হবে।
এর আগে কমিশন মূল্যসূচক পুনর্গঠনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে বিদ্যমান মূল্যসূচকের পরিবর্তে এক হাজার সূচককে ভিত্তিসূচক ধরে সম্পূর্ণ নতুন সূচক চালুর সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে কমিটি শুধু লেনদেনযোগ্য (ফ্রি-ফ্লোট) শেয়ারের ভিত্তিতে নতুন সূচক নির্ণয়ের কথা বলেছে।
এ ছাড়া সাধারণ ও সার্বিক মূল্যসূচকের পাশাপাশি নতুন করে খাতভিত্তিক সূচক চালুরও সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটি বলেছে, নতুন সূচক চালুর আগে ‘লেনদেনযোগ্য (ফ্রি-ফ্লোট) শেয়ার’ ও ‘উদ্যোক্তা’কে সংজ্ঞায়িত করতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিতভাবে যাতে লেনদেনযোগ্য শেয়ারের সংখ্যা নিরূপণ করা যায়, তার জন্য আলাদা একটি পদ্ধতিও চালু করতে হবে।
এর আগে ডিএসই গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও বর্তমান সূচকের পরিবর্তে নতুন সূচক চালুর সুপারিশ করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুল হক, মাহমুদ ওসমান ইমাম ও সাদিকুল ইসলামকে নিয়ে গঠিত ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সূচক পরিমাপ বা নির্ধারণে হিসাবজনিত অসংগতির কারণে ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচকে প্রায় আড়াই হাজার পয়েন্ট বাড়তি যুক্ত হয়েছে, যা এখনো বিদ্যমান।

No comments

Powered by Blogger.