প্রথম সেশনে উইকেট পড়েনি বাংলাদেশের


ঞ্চম দিনের প্রথম সেশনটা কোনো উইকেট না হারিয়েই কাটিয়ে দিল বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০০ রান। এই মুহূর্তের পাকিস্তানের চেয়ে ৬৮ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাট হাতে লড়াই করলেন নাসির হোসেন ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠেছে ১০২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘তরুণ তুর্কি’ নাসির ৭৬ রানে অপরাজিত আছেন। তাঁকে


অভিভাবকত্বের সঙ্গ দিচ্ছেন স্থিতধী অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ৪১ রানে অপরাজিত থেকে। বাংলাদেশ কত রানে এগিয়ে আছে, জয়ের জন্য পাকিস্তানকে কত রানের লক্ষ্যমাত্রায় নামতে হবে-মিরপুর টেস্টে এসব প্রশ্ন এখন গৌন। সবকিছু ছাপিয়ে বাংলাদেশের বাকি পাঁচ ব্যাটসম্যান কতক্ষণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেন-ক্রিকেটামোদীদের প্রত্যাশার বিষয় এখন এটিই। সেই প্রত্যাশা মেটানোর লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও নাসির হোসেন।
পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক আজ সকাল থেকে বেশ কয়েকজন বোলারকেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানের লড়িয়ে মানসিকতার কাছে হার মেনেছে পাকিস্তানি বোলারদের সব কৌশল। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ দিয়ে অনিয়মিত বোলার আজহার আলীও ব্যবহূত হয়েছেন ‘টোপ’ হিসেবে। তবে আশার কথা হচ্ছে, কোনো কিছুই নাসির হোসেন ও মুশফিকুর রহিমের মাথা এখনো পর্যন্ত বিগড়ে দিতে পারেনি। অসম্ভব দৃঢ়তা ও ধৈর্য্য নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই দুই ব্যাটসম্যান।
আগেই বলা হয়েছে, সেশন-বাই-সেশন ব্যাটিং করে যাওয়া ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে কোনো প্রত্যাশা নেই। সেই প্রত্যাশার প্রথম ধাপে দারুণভাবে সফল নাসির হোসেন ও মুশফিকুর রহিম। পরের দুটো ধাপ এখনো বাকি। আশা করা যায়, তারা এটা মাথায় রাখবেন যে তারাই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের শেষ স্বীকৃত ব্যাটিং জুটি।

No comments

Powered by Blogger.