মন্ত্রিসভা ক্রয় কমিটির বৈঠকে সার আমদানির অনুমোদন

কাতার থেকে ১৫ হাজার টন ব্যাগ্ড প্রিল্ড ইউরিয়া সার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৪ হাজার টন ব্যাগ্ড গ্রানুলার ইউরিয়া সারসহ মোট ২৯ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন করছে সরকার। এ জন্য সরকারের মোট ব্যয় হবে ১১৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মঙ্গলবার শেরেবংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ক পৃথক দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল


মুহিতের সভাপতিত্বে বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, খাদ্যমন্ত্রী ড.আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক, কেবিনেট সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইঞাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব নুরুল করিম বৈঠকে অনুমোদিত বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, চলতি ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের মোট চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ লাখ টন। যার মধ্যে বিসিআইসির নিজস্ব কারখানাগুলোর উৎপাদন ১০ লাখ টন ধরে আমদানির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ টন। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে দুই লাখ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দুই লাখ টন, কাতার থেকে চার লাখ টন এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আট লাখ টন ইউরিয়া সার আমদানি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেন।
যুগ্ম সচিব নুরুল করিম বলেন, বৈঠকে ভৈরব, খুলনা, রাজশাহী ও সাতক্ষীরায় চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে দুটির আর্থিক দরপ্রস্তাব অনুমোদন এবং দুটি কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর প্রস্তাব ওঠানো হয়। এর মধ্যে খুলনা ও রাজশাহীতে স্থাপিতব্য ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ১১০ মেগাওয়াট করার প্রস্তাব দুটি বিদ্যুৎ বিভাগ প্রত্যাহার করে নেয়। অপর দুটি প্রস্তাবের মধ্যে বেসরকারি খাতে ভৈরব ও সাতক্ষীরায় ফার্নেস অয়েলভিত্তিক ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের স্পন্সর নিয়োগের প্রস্তাব ফেরত পাঠানো হয়েছে। দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে পরবর্তী বৈঠকে প্রস্তাব দুটি উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। তবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ) আইন-২০১০ এর আওতায় রাশিয়ান ফেডারেশনের জেএসসি গাজপ্রমের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন গ্রাস ফিল্ডের ১০টি কূপ খননের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য সরকারের ব্যয় হবে ১৯ কোটি ৩৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইমারজেন্সি ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারি অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রজেক্টের (ইসিআরআরপি) ডিজাইন ও সুপারভিশন প্রকল্পের পরামর্শক ফার্মের ব্যয় বাড়ানোর একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ খাতে সরকারের ৩৬ কোটি ছয় লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এ ছাড়া আরবান পাবলিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের অপর একটি প্রস্তাবেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সরকারের ব্যয় হবে ১৯ কোটি এক লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

No comments

Powered by Blogger.