মুখোমুখি প্রতিদিন-সব কিছু ঠিকঠাকমতো করে একটা দৌড় দিমু

ন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য ফেরাতে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু হয়েছে অ্যাথলেটিকসে। সেই ক্যাম্প কেমন চলছে, অ্যাথলেটরাই বা কী ভাবছেন_এসব জানতেই কালের কণ্ঠ স্পোর্টস মুখোমুখি হয়েছিল ক্যাম্পে থাকা গত সামার মিটের দ্রুততম মানব হাফিজুল ইসলামের কালের কণ্ঠ স্পোর্টস : আপনাদের অনুশীলন কেমন চলছে? হাফিজুল ইসলাম : খুব ভালো চলতেছে। এখন তো কন্ডিশনাল (ট্রেনিং), তাই একটু পরিশ্রম বেশি।


প্রশ্ন : এক মাস তো হয়ে গেল। হাফিজ : হ্যাঁ, নভেম্বরের ১৪ তারিখ থেকে ক্যাম্প শুরু হইছে। সামনে বোধহয় ইন্দো বাংলা (গেমস) আছে। ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা। আমি সঠিক জানি না। ইন্দো বাংলা হলে সামনের সপ্তাহ থেকেই বোধহয় রানিং শুরু হবে। কোচও এ রকম বলছে। আমরা কিন্তু এখনো রানিং শু পরি নাই।
প্রশ্ন : ইন্দো বাংলা গেমস না হলে?
হাফিজ : না হলে মার্চে আবার ন্যাশনাল মিট হওয়ার কথা। তারিখ হয় নাই। কিন্তু ন্যাশনাল মিট তো ফেডারেশন করবে আর ইন্দো বাংলার কথা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনই বলতে পারবে।
প্রশ্ন : ক্যাম্পটা তো ফেডারেশনের অধীনেই হচ্ছে, কত দিন চলবে?
হাফিজ : ফেডারেশন থেকে বলছে ক্যাম্প এইটা চলতে থাকবে। ক্যাম্পটা মূলত সাফ গেমসের জন্য। ফেডারেশন মনে করছে, সাফে তাদের দুই-একটা গোল্ড দরকার। সেই জন্যই এই ক্যাম্প শুরু করেছে।
প্রশ্ন : আপনার কি মনে হচ্ছে, সোনা জিততে পারবেন সাফে?
হাফিজ : প্র্যাকটিস তো ভালোই হইতেছে, দেখা যাক, ইনশাআল্লাহ। আর এখন তো সব মিলে ১১ জন আছি, এর মধ্যে নতুন নতুন ছেলে আসবে। আশা করি, আমরা একটা ভালো রেজাল্ট এনে দিতে পারব।
প্রশ্ন : আপনি নিজে কতটা আত্মবিশ্বাসী সোনা জেতার ব্যাপারে।
হাফিজ : (হাসি), আমার আশা আছে দেখা যাক, সব কিছু ঠিকঠাকমতো করে একটা দৌড় দিমু। দেখি দৌড়টা কেমন হয়।
প্রশ্ন : গত সামার মিটে আপনি সোনা জিতলেন যেন কত টাইমিংয়ে?
হাফিজ : ওখানে দৌড়াইছি দশ আটে (১০.৮০)।
প্রশ্ন : আর গত সাফে সোনা জিতল...
হাফিজ : সাফে তো দশ ষাটে জিতল, নাকি, এ মুহূর্তে আমার ঠিক স্মরণ হইতেছে না। পরে জানাইতে পারব।
প্রশ্ন : তাহলে সোনা জিততে আপনার লক্ষ্য কী, টাইমিং কততে নিয়ে আসতে চান?
হাফিজ : দেখি না, ভালো টাইমিংয়ে তো আমি দৌড়াইছি। আবদুল্লাহ ভাই (সাবেক দ্রুততম মানব আবু আবদুল্লাহ), কাফি ভাইদের (আবদুল্লাহ হেল কাফি) সঙ্গে দশ পঞ্চাশেও (১০.৫০) দৌড়াইছি। সেই ফর্মটা পাইলে সাফে একটা ফাইট দেওয়া যাবেই।
প্রশ্ন : ক্যাম্পের খেলোয়াড়দের জন্য ফেডারেশন তো এখন মাসিক ভাতার ব্যবস্থাও করেছে।
হাফিজ : প্রথমে এখন পাঁচজনকে দিচ্ছে। লং জাম্পের আল-আমিন, সঙ্গে আর চারজন মেয়ে_সুমিতা, পুতুল, চুমকি, জেসমিন। উদ্যোগটা ভালো, প্রথম প্রথম তো সে জন্যই এখন পাঁচজনকে দিচ্ছে।
প্রশ্ন : জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এই পুরনো ভবনে থাকা-খাওয়া নিয়ে আগে তো অনেক অভিযোগ শোনা গেছে, এখন পরিবেশ কেমন?
হাফিজ : আমি প্রথম উঠলাম ক্যাম্পে, আমার কাছে তো ভালোই মনে হইছে। আর আমরা মানুষ কম তো, এই জন্য কোনো সমস্যা হইতেছে না, আমাদের ডাইনিংও আলাদা।

No comments

Powered by Blogger.