কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন : প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন প্রার্থী ও তাদের মনোনীত ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রতীক বরাদ্দ দেন। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই অধিকাংশ মেয়র প্রার্থী দুপুর থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। মহানগরীতে অনেক প্রার্থী নিজের প্রতীক


ভোটারদের জানান দিতে মাইকেও প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর মহানগরীতে প্রার্থীরা পুরো নির্বাচনী আমেজেই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ঘুরতে-ফিরতে দেখা গেছে।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর বর্তমানে মেয়র পদে ৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। মেয়র পদে আ’লীগ সমর্থিত ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আফজল খান (আনারস), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (হাঁস), জাপার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এয়ার আহমেদ সেলিম (টেলিভিশন), আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম (চশমা), আনিসুর রহমান মিঠু (জাহাজ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) মামুনুর রশিদ (কাপ-পিরিচ), চঞ্চল কুমার ঘোষ (ঘোড়া), সালমান সাঈদ (দোয়াত-কলম) এবং একমাত্র নারী মেয়র প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেত্রী শিরিন আক্তার (তালা) প্রতীক পেয়েছেন। মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর ক্রমান্বয়ে সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এর আগে সব প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থিতা পর্যন্ত বাতিল করা হবে। মেয়র প্রার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ৯টি এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ১টি মাইক ব্যবহারের কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করা যাবে। প্রার্থীরা গণসংযোগ করতে পারলেও কোনো শোডাউন, জনসভা করতে পারবেন না, তবে পথসভা ও ঘরোয়া সভা করতে পারবেন।

No comments

Powered by Blogger.