বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার আছে : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন নিয়ে মন্তব্যকালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, স্বাধীনতার ৪০তম বার্ষিকীতে দেশটির মানবাধিকারের কিছু বিষয়ে কথা বলতে ব্রিটেন কোনো ইতস্তত করবে না। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে (হাউস অব কমন্স) বুধবার রুশনারা আলীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। লন্ডনপ্রবাসী বাংলাদেশীদের কয়েকটি সূত্র লন্ডন থেকে এ তথ্য জানায়। বাংলা নিউজ


রুশনারা আলী সেদিন পার্লামেন্টে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ৪০ বছরপূর্তিতে ব্রিটিশ সরকারের করণীয় ও অতীত ভূমিকা প্রসঙ্গে কথা বলেন। রুশনারা বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দখলদারিত্ব থেকে স্বাধীন একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জন্মের পেছনে এই পার্লামেন্ট ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিল। এজন্য হাউস অব কমন্সকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা একটি দেশ।
দেশটিকে আমাদের সহায়তা দিতে হবে।’
রুশনারা বলেন, ‘৪০ বছর আগে স্বাধীনতার সময়টার চেয়ে জলবায়ু নিয়ে বাংলাদেশ এখন আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’
হাউস অব কমন্সের সদস্য রুশনারা আলীর বক্তব্যের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ফ্লোর নিয়ে বলেন, রুশনারা আলী বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতে পুরো হাউসের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই ভালো। আমাদের মনে রাখতে হবে, ব্রিটেন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সহায়তা প্রদানকারী দেশগুলোর একটি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এরপর বলেন, তবে স্বাধীনতার এত বছর পরও দেশটির মানবাধিকার বিষয়ে কিছু ইস্যু নিয়ে কথা বলার আছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও আমি বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি। তিনি বলেন, মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ মাধ্যমে কথা বলতে ব্রিটেন নিশ্চয়ই কোনো ইতস্তত করবে না।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি পাঁচদিনের সফরে ব্রিটেনে অবস্থান করছেন। যদিও এ সফরসূচিতে ব্রিটেনের মন্ত্রী বা সরকারের শীর্ষস্থানীয় কারও সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি তার সফরসূচিতে নেই।
দীপু মনি লেস্টারে ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ ছাড়া তিনি বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন। উল্লেখ্য, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজক হাউস অব কমন্সের স্পিকার।

No comments

Powered by Blogger.