স্বাস্থ্য বিভাগে লোক নিয়োগে দুর্নীতি গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ওএসডি

গোপালগঞ্জে স্বাস্থ্য বিভাগে লোকবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সিভিল সার্জন ডা. মো মোস্তাফিজুর রহমান মিয়াকে ওএসডি করা হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। ওই ফ্যাক্স বার্তায় গতকালের মধ্যেই সিভিল সার্জনকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগ দিতে বলা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ বেড জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর ৪৪টি


পদের জন্য ২ হাজার ৪শ’ পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১৬৭ জন। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর ৯৩টি পদের জন্য ৫ হাজার ৫শ’ জন আবেদন করেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের ৫টি পদের জন্য ২ হাজার ৩৮৪ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪৪ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সিভিল সার্জন অফিসের একটি চক্র দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের উত্তীর্ণ করেন। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে আলোচনা ও সমালোচনার ঢেউ ওঠে। ২০ নভেম্বর লোকবল নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
৪ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান মিয়াকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় তলব করা হয়। তিনি সেখানে হাজির হয়ে কমিটির সদস্যদের সামনে এ ব্যাপারে কথা বলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি স্থগিত হয়ে যাওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করা জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে।
অবশেষে গতকাল লোক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রাহমানকে ওএসডি করা হয়। এর আগে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিভিল সার্জন অফিসের ৩ কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.