'কিষেনজি হত্যার জন্য মমতা দায়ী'

মাওবাদী নেতা কিষেনজি হত্যার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী বলে দাবি করেছেন ভারতের মাওবাদী তাত্তি্বক নেতা কবি বারবারা রাও। 'সাজানো ক্রসফায়ারে' তাকে হত্যা করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, শান্তির জন্য আহ্বান জানিয়েও মমতা তাকে হত্যা করেছেন। তিনি মুখে এক কথা বলেন, করেন আরেক। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, জিনিউজের।
এদিকে কিষেনজি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চেয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট দলগুলো। কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গের নেতা বিমান বসু বলেন, কি ঘটেছে তা শুধু ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পরই জানা যাবে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই কিষেনজি হত্যার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সিআইডির ডিআইজি কে জায়ারমান বলেন, কিষেনজি হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিষেনজির ভাইঝি দীপা রাওয়ের সঙ্গে লাশ শনাক্ত করতে এবং লাশ অল্প্রব্দ প্রদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসেন বারবারা রাও। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি ১৯৯১ সাল থেকে কিষেনজিকে দেখে আসছি। বিগত ৪৩ বছরে আমি অনেক লাশই দেখেছি। কিন্তু এ লাশের মতো দেখিনি। যৌথবাহিনী তাকে কুপিয়ে আহত করেছে এবং পুড়িয়েছে। এরপর তাকে গুলি করে মারা হয়েছে। তার শরীরের এমন একটি অংশ পাওয়া যাবে না যেখানে আঘাতের চিহ্ন নেই। 'তারা তাকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রেখে অত্যাচার করেছে বলেও তিনি জানান।' এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ কথা বলেন। তবে নিরাপত্তা সংস্থার দাবি, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার মাওবাদী পলিটব্যুরো সদস্য কিষেনজি পশ্চিম মেদিনীপুরের বুড়িশোল জেলায় বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।
শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ মেদিনীপুর হাসপাতালে গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন কিষেনজির ভাইঝি দীপা রাও। দীপা বলেন, তিনি ১৯৮৫ সালে শেষবারের জন্য দেখেছিলেন কিষেনজিকে। তা সত্ত্বেও দেহটিকে তিনি কিষেনজির বলেই শনাক্ত করেন। এর পরেই দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে কলকাতা থেকে বিমানে করে অল্প্রব্দ প্রদেশে কিষেনজির লাশ নিয়ে যাওয়া হবে।
সেখানে করিমনগরে নিজের গ্রামে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

No comments

Powered by Blogger.