মিরসরাইয়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার হচ্ছে না উপকূলীয় জেলেদের দুর্ভোগ কমছে না by বিপুল দাশ,

মিরসাইয়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ কমছে না উপকূলীয় এলাকার জেলেদের। বেড়িবাঁধের দু'পাশ উঁচু হয়ে মাঝে গত সৃষ্টি হওয়ায় আহরিত মাছের বাজারজাতকরণ নিয়ে ভীষণ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। এ কারণে তারা প্রতিদিন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।জানা গেছে, উপজেলার সাহেরখালী থেকে ইছাখালী পর্যন্ত প্রায় ২০টি উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সাগরের লবণাক্ত পানি ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে


বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ষাটের দশকে শুরু হওয়া এ কাজ শেষ হয় সত্তর দশকের প্রথমদিকে। এরপর থেকে উপকূলীয় এলাকার জেলেসহ স্থানীয় লোকজন বেড়িবাঁধটিকে সড়ক হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। তবে বাঁধ নির্মাণ হলেও বিভিন্ন খালের মুখে স্লুইস গেট না থাকায় লবণাক্ত পানি কিংবা জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পাচ্ছিল না জনগণ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে স্থানীয় সাংসদ মোশাররফ হোসেন নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ খালগুলোর মুখে স্লুইস গেট নির্মাণ করেন। স্লুইস গেট নির্মাণের পর বেঁড়িবাধ সড়কটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে জেলেদের কাছে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে এটি খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সরেজমিনে সাহেরখালী উপকূলীয় স্লুইস গেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের দুই পাশ উঁচু হয়ে মাঝে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত।
জানা যায়, প্রতিদিন সাহেরখালী খাল, ডোমখালী খাল ও বামনসুন্দর খাল দিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান উপজেলার প্রায় ৮শ' জেলে। সাগর থেকে সংগৃহীত মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতেও জেলেরা ব্যবহার করেন এ বেড়িবাঁধ। কিন্তু বর্তমানে বেড়িবাঁধের নাজুক অবস্থার কারণে সাগর থেকে কষ্ট করে শিকার করা মাছ তারা সময়মতো পরিবহন করতে পারছেন না। এ কারণে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
সাহেরখালী জেলেপাড়ার বাবুল জলদাশ সমকালকে বলেন, 'বেড়িবাঁধের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমাদের প্রতিদিনই লোকসান গুণতে হচ্ছে। সাগর থেকে আহরিত মাছ আমরা সময়মতো বাজারে পেঁৗছাতে পারছি না। আবার এগুলো বরফ দিয়ে সংরক্ষণও করা যাচ্ছে না। কেননা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে উপকূলীয় এলাকায় নেই কোনো বরফ কলও। বেড়িবাঁধটি যদি সংস্কার করা হয় তাহলে আমাদের আর লোকসান গুণতে হতো না।'
ধনা জলদাশ জানান, ইলিশ মৌসুমে সাহেরখালী স্লুইসগেইট এলাকায় প্রতিদিন গড়ে লাখ টাকার ইলিশ ও অর্ধ লাখ টাকার অন্যান্য মাছ বেচাকেনা হয়। কিন্তু বেড়িবাঁধের খারাপ অবস্থার কারণে জেলেদের বাধ্য হয়ে কম দামে বেপরিদের কাছে মাছ বিক্রি করতে হয়েছে।
বেড়িবাঁধটি উপকূলীয় এলাকার জেলেদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বলে স্বীকার করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'বেড়িবাঁধটি সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট থেকে ফেনীর লালপুর এলাকা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের বিকল্প সড়ক হিসেবে নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.