জি-২০ বৈঠকে ঋণসংকট হ্রাসের আশ্বাসে চাঙ্গা বিশ্ব শেয়ারবাজার

বারও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বিশ্ব শেয়ারবাজার। বেড়েছে লেনদেন ও সূচক। হয় শেষ, না-হয় বেশ_যে করেই ইউরো জোনের ঋণসংকট দূর করা হবে_জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক নেতাদের এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতেই যেন প্রাণ ফিরে পান বিনিয়োগকারীরা। এর তাৎক্ষণিক ফল এশিয়ার ও ইউরোপের শেয়ারবাজারে লেনদেন ও সূচক বৃদ্ধি।
বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে গত শনিবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরদের বৈঠক।


বিশ্বকে আরেকটি মন্দা থেকে রক্ষায় ইউরো জোনের ঋণসংকট দূরীকরণ হবে একক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার_বৈঠক থেকে এমন প্রতিশ্রুতি আসার পাশাপাশি শুক্রবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক তথ্যও ছিল ইতিবাচক। পশ্চিমে এমন সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নড়েচড়ে বসবেন, এটাই ছিল স্বাভাবিক। তবে ঘোষণা সপ্তাহের শেষে হওয়ায় শেয়ারবাজারের অবস্থা দেখার জন্য ছুটির দিনটি অপেক্ষা করতে হয়।
গতকাল সোমবার সকালের বাণিজ্যে লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক বেড়েছে ১.২০ শতাংশ। ফ্রাঙ্কফুটের ড্যাঙ্ সূচক ১.৭০ শতাংশ ও প্যারিসের ক্যাক ৪০ সূচক বেড়েছে ১.২৭ শতাংশ। অন্যদিকে টোকিওর শেয়ারবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে ১.৫০ শতাংশ সূচক বৃদ্ধি দিয়ে। সিডনিতে বাড়ে ১.৭০ শতাংশ, সিওলে ১.৬২ শতাংশ ও হংকংয়ে সূচক বাড়ে ১.৩৭ শতাংশ। স্প্রেডেঙ্ ট্রেডিং গ্রুপের বিশ্লেষক ক্রিস পার্দি বলেন, 'খুব দ্রুতই ইউরো জোনের ঋণসংকটের কাঙ্ক্ষিত সমাধান আসছে। এমন সম্ভাবনা থেকে অর্জন দিয়ে শুরু হয় এশিয়ার শেয়ারবাজারে লেনদেন। তাতেই আশাবাদী হয়ে উঠেন ইউরোপের বিনিয়োগকারীরা। এতে লেনদেন ও সূচক বেড়ে যায়।' জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বৈঠক শেষে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোস ব্যারুন বলেন, 'ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য ইইউ নেতাদের শীর্ষ বৈঠকে ইউরো জোনের ঋণসংকটের সমাধান উপস্থাপান করা হবে।' তিনি বলেন, 'আগামী ২৩ অক্টোবরের শীর্ষ বৈঠকেই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।'
তিনি আরো বলেন, 'অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছি।' জি-২০ভুক্ত অর্থমন্ত্রীরা ঋণসংকট সমাধানে ইউরোপের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আরো অনেক কিছু করতে হবে। এক যুক্ত বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, 'ঋণসংকটের বিস্তার রোধে ইউরোপেীয় ঋণ তহবিল আরো কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর পদক্ষেপের দিকে আমরা চেয়ে আছি।' এ মাসে প্রথমবারের মতো ডলারের তুলনায় ইউরোর মানও বেড়েছে। বাজারে সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বেড়েছে তেলের দাম। নিউ ইয়র্কের বাণিজ্য কেন্দ্রে নভেম্বরে সরবরাহের জন্য লাইট সুইট অপরিশোধিত তেলের দাম ৩২ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাম হয়েছে ৮৭ দশমিক ১২ ডলার। ডিসেম্বরে সরবরাহের জন্য ব্রেন্ট নর্থ সি অপরিশোধিত তেলের দাম ৯ সেন্ট বেড়ে ১১২ দশমিক ৩২ ডলারে বিক্রি হয়েছে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.