১৮ বছর বয়সেই অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট দলে কামিন্স

ব্যাগি গ্রিন ক্যাপটা গাছের আম নয় যে চাইলাম আর পেয়ে গেলাম। অনেক সাধনা করতে হয় টুপিটার জন্য'_রিকি পন্টিংয়ের অমর উক্তি। অস্ট্রেলিয়ার বেশির ভাগ ক্রিকেটারের ২৫ বছরের পর টেস্ট অভিষেক হওয়া নিয়ে বলেছিলেন তিনি। ব্যতিক্রম প্যাট কামিন্স। সেই সাধনা করতে হলো না তাঁকে। মাত্র ১৮ বছর ১৬২ দিন বয়সে ডাক পেয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট দলে। অথচ এখনো ওয়ানডেতেই অভিষেক হয়নি। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচও খেলেছেন মাত্র তিনটা। এমন একজনকে টেস্ট দলে নেওয়াটা জুয়া খেলা হয়ে গেল না? অস্ট্রেলিয়ান প্রধান নির্বাচক অ্যান্ড্রু হিলডিচ মানছেন না সেটা, 'আমার মনে হয় না এটা কোনো জুয়া।


দারুণ বোলার ও আর আমাদের নজরেও ছিল অনেক দিন ধরে। চোট পেয়ে না বসলে তো ডাক পেয়ে যেত শ্রীলঙ্কা সফরেই।'কামিন্সের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিজ্ঞতা বলতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি টোয়েন্টি টোয়েন্টি। কেপটাউনে ২৫ রানে ৩ আর জোহানেসবার্গে ২৬ রানে ২ উইকেট নেওয়ায় অধিনায়ক ক্যামেরন হোয়াইট ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন এই ফাস্ট বোলারের। চ্যাম্পিয়নস লিগে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে রানোৎসবের ম্যাচটিতে ৪ উইকেট নিয়ে প্রমাণ করেছিলেন নিজেকে। তারও আগে বিগ ব্যাশে ১৪.০৯ গড় ও ৬.৫৯ ইকোনমি রেটে ১১ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া বোলার। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড তাঁর সঙ্গে চুক্তিও করে নেয় এরপর, যা কামিন্সকে পরিণত করেছে সবচেয়ে কমবয়সী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ে। সবচেয়ে কম বয়সী টেস্ট অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় হওয়ার অবশ্য সুযোগ নেই। সর্বশেষ ১৯৫৩ সালে ১৭ বছর বয়সে ব্যাগি গ্রিন টুপিটা পরে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ইয়ান ক্রেগের।
বয়স কম বলে এখনই প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে কামিন্সের ওপর চাপ বাড়াতে চান না হিলডিচ, 'ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সম্পদ। এই ১৮ বছর বয়সেই দেখিয়েছে নিজের সামর্থ্য। তাই বলে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করে ওকে চাপে ফেলতে চাই না আমরা।' কামিন্সকে জায়গা দিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জেতা টেস্ট সিরিজের দলটি থেকে বাদ পড়েছেন কেবল জেমস প্যাটিনশন। এ ছাড়া দলে আর কোনো পরিবর্তন নেই। বাদ পড়লেও কামিন্সের জন্য সমবেদনাই ঝরল হিলডিচের কণ্ঠে, 'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি সুযোগ পায়নি ও। যেটুকু পেয়েছে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে সেটা। এখন শেফিল্ড শিল্ডে ভালো করে দলের অন্যদের ওপর চাপটা ধরে রাখতে হবে প্যাটিনশনকে।' ১৯-২৮ অক্টোবর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া। কেপ টাউনে প্রথম টেস্টটি মাঠে গড়াবে ৯ নভেম্বর।
অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট দল : মাইকেল ক্লার্ক (অধিনায়ক), শেন ওয়াটসন, মাইকেল বিয়ার, ট্রেন্ট কোপল্যান্ড, প্যাট্রিক কামিন্স, ব্রেড হ্যাডিন, রায়ান হ্যারিস, ফিউল হিউজস, মিচেল জনসন, উসমান খাজা, নাথান লিওঁ, শন মার্শ, রিকি পন্টিং ও পিটার সিডল। ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.