চিকিৎসা ব্যয় বহনে বছরে গরিব হচ্ছে ৫০ লাখ মানুষ -বিএমইউ ভিসি

চিকিৎসা খরচ বহন করতে গিয়ে বাংলাদেশে  বছরে ৫০ লাখ মানুষ গরিব হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের (বিএসএনএস) তিন দিনব্যাপী চতুর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সভার আয়োজন করে। বিএমইউ ভিসি বলেন, এ দেশের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসা ব্যয় কমানো গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক একটি জার্নালে দেখা গেছে, এ দেশের এক শতাংশ সার্জারি রোগী ভিক্ষা করে টাকা আনে। ১২ শতাংশ রোগী টাকা আনে চক্রবৃদ্ধি সুদে। তারা সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করা ছাড়া কোনোদিনই সেই টাকা শোধ করতে পারে না। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, চিকিৎসা খরচ বহন করতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫০ লাখ মানুষ গরিব হয়ে যায়। তিনি বলেন, এ দেশের জনসংখ্যা বিশাল। ফলে রোগীও প্রচুর। অনেক উন্নত দেশে আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে, কিন্তু রোগী কম। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র আলাদা। সে হিসেবে আমাদের এই খাতে আরও অনেক পদক্ষেপ নেয়া বাকি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন বলেন, দেশের চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন এবং চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও নিউরো সার্জারিসহ নানা খাতে চিকিৎসকরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এখন পিছিয়ে থাকলেও নিউরো অ্যান্ড স্পেইন সার্জারিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের চিকিৎসা শিক্ষা এবং চিকিৎসাসেবা উন্নত করার জন্য সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আশা করি, একসময় দেশের চিকিৎসাখাত আধুনিক হবে এবং মানুষের আস্থা-ভরসায় পরিণত হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদুল হক, সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান খান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সভা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. মাঈনুল হক সরকারসহ দেশি-বিদেশি ৩০০ জনের অধিক নিউরোসার্জন উপস্থিত ছিলেন। তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিএসএনএসের পক্ষ থেকে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, লাইভ সার্জারি, থ্রিডি অ্যানাটমি সেশন এবং অ্যান্ডো ভাস্কুলার সিমুলেশন ইত্যাদি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।