একটু অখুশি, বেশিটাই খুশি মেসি

চুক্তি নিয়ে অখুশি লিওনেল মেসি! ভেতরে যা-ই থাকুক, এই শিরোনামটাই বার্সেলোনা সমর্থকদের ঘাবড়ে দিতে পারে। মেসির সঙ্গে বার্সার চুক্তি বাড়ানো নিয়ে কোনো ঝামেলা হলো না তো! না, তেমন আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।
তা ছাড়া পরশু চুক্তি সই করে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঠিকানাটা বার্সেলোনায় পাকা করে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। তবে এটাও সত্যি, নতুন এই চুক্তির একটি অংশ নিয়ে খুশি ছিলেন না। টানা চারবারের ব্যালন ডি’অর জেতা মেসির ‘বাই আউট ক্লজ’ ২৫ কোটি ইউরোই (২৬৩৮ কোটি টাকা প্রায়) রাখা হয়েছে। এটা নিয়েই আপত্তি ছিল মেসির।
‘বাই আউট ক্লজ’-এর অর্থ হচ্ছে, ২০১৮ সালের আগে বার্সেলোনার নির্দেশ অমান্য করে অন্য কোনো ক্লাবে যেতে হলে সেই ক্লাবকে এই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে স্প্যানিশ ক্লাবটিকে। এটা যে কী অবিশ্বাস্য রকমের এক অঙ্ক সেটি অনুমান করে নিতে পারেন। ফুটবলের সর্বকালের সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফির রেকর্ডই ৯ কোটি ৩০ লাখ ইউরো। অর্থাৎ বার্সার চাওয়া অমান্য করে মেসিকে পেতে চাইলে সেই রেকর্ডের প্রায় তিন গুণ দাম চুকাতে হবে কাঙ্ক্ষিত ক্লাবটিকে! মেসি এই বাই আউট ক্লজের অঙ্কটা কমানোর কথা বলেছিলেন বলেই খবর এসেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নাকি হাসিমুখেই চুক্তি সই করেছেন। নতুন চুক্তিতে মেসির আয়কর বাদে বার্ষিক বেতন হবে ১ কোটি ১০ লাখ ইউরো অর্থাৎ ১১৬ কোটি টাকা।
এই চুক্তিতে ৩১ বছর বয়স পর্যন্ত মেসিকে বার্সায় রেখে দেওয়া নিশ্চিত করে ফেললেন বার্সা সভাপতি সান্দ্রো রোসেল। মেসির যে অবিশ্বাস্য ফিটনেস, তাতে নিশ্চয়ই আরও অনেক বছর এখানেই থেকে যাবেন। শেষ বয়সেও মেসিকে পাওয়ার ইচ্ছা যদি পুষে রাখে অন্য কোনো ক্লাব, তাদেরও হতাশ হতে হবে। কারণ বার্সায় ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানার পর শেষবেলায় জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছাটা আরেকবার জানিয়েছেন মেসি, ‘আগেও অনেকবার বলেছি, ইউরোপে খেললে আমি বার্সাতেই ক্যারিয়ার শেষ করব। আমি ইউরোপের আর কোনো ক্লাবে যাব না। তবে আর্জেন্টিনায় নিজের ক্যারিয়ার শেষ করার সম্ভাবনা আমি নাকচ করে দিতে পারি না।’ এএফপি, ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.