অভিমত- জনপ্রত্যাশিত একটি রায়

কিছুদিন আগে নয়া দিগন্ত-এর প্রথম পাতায় ‘খিলগাঁও থানার ওসিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের’Ñ শিরোনামের সংবাদটি পড়ে ভালো লাগল। সম্মানিত বিচারপতিদ্বয়কে অভিনন্দন। এই সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপে দুর্নীতিবাজ পুলিশ ও নীতিহীন লোকরা ছাড়া দেশের সব মানুষ খুশি। গণমানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগ অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে পুলিশ যাকে তাকে ধরে মারপিট করে মামলা ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের ফাঁদ পাততে ভয় পাবে। অন্যায়কারীদের কাছে প্রশাসন একেবারে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে মানুষ মনে করে। অপরাধ করলেও তাদের কোনো শাস্তি হচ্ছে না। এতে তারা প্রশ্রয় পাচ্ছে। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে পুলিশ চড় মেরে দাঁত ফেলে দিতে চাইল, লাঠিপেটা ও রক্তাক্ত করল, চরম নির্যাতন চালাল; কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পুলিশের দোষ দেখতে পাননি। উপরন্তু, মারপিটের হোতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিদেশি পাড়ি জমাতে পারলেন। অন্যজন হলে পুরস্কৃত। অ্যাটর্নি জেনারেল সেদিন হাইকোর্টের নির্দেশের সময় ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় পুলিশই প্রথম আঘাতের শিকার হয়েছে… ঘটনা না জেনে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক হবে না’ বলে মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙিয়ে নির্যাতকের পক্ষ নিয়েছিলেন এবং সম্মানিত বিচারকদ্বয়ের রায়ের মর্যাদা দেননি বলেই মানুষের ধারণা রয়েছে। ঢাবির ছাত্রটিকে আধমরা অবস্থায় দেখার পরও অ্যাটর্নি জেনারেল পুলিশের পক্ষে সাফাই গাইলেন কী করে? তার বিশ্বাস, পুলিশ মারপিট করতে জানে না! পুলিশি নির্যাতনের শিকার ঢাবির ছাত্র আবদুল কাদেরের বাঁ পাটা একবার ভালো করে দেখুন আর অনুধাবন করুন এ ধরনের নির্যাতনকারীরা কতটা ভালো! হ

মোঃ জালাল উদ্দিন

সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত

অধ্যাপক, নওগাঁ

No comments

Powered by Blogger.