কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কিংবদন্তির কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালের বাবুগঞ্জের নিজ গ্রামে কবি 'আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ' পাঠাগারের উদ্যোগে বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি ১৯৩৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গ্রামের নাম বাহেরচর ৰুদ্রকাঠি। থানার নাম বাবুগঞ্জ। পিতা মরহুম বিচারপতি আঃ জব্বার খান। মাতা সালেহা খাতুন। তাঁর শৈশব-কৈশোর কেটেছে পিতার কর্মস্থল বিভিন্ন মহকুমা ও জেলা শহরে।
তিনি এসএম, হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে বি.এ. (অনার্স) এমএ এবং যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসন ও উন্নয়ন অর্থনীতিতে ডিপ্লোমা ডিগ্রী লাভ করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগে অধ্যাপনা, পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে সরকারী চাকরিতে মহকুমা, জেলা প্রশাসক ও বংলাদেশ সরকারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সহকারী মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সাতনরীরহার, কখনো রং কখনো সুর, কমলের চোখ, আমি কিংবদনত্মীর কথা বলছি, সহিষ্ণু প্রতীৰা, বৃষ্টি এবং সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা, আমার সময়, আমার সকল কথা, খাঁচার ভিতর অচিন পাখি।
অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে ইয়োলো স্যান্ড ডিউন-চায়না থ্রম্ন চায়নীজ আইজ। তাছাড়াও প্রবলেম এ্যান্ড প্রসপেক্টাস, ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট ফুড এ্যান্ড ফেইথ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনে অসংখ্য লেখা রয়েছে।
২০০১ সালের এই দিনে ১৯ মার্চ অপরাহ্নে কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর জীবনাবসান হয়। পিতার কবরে তাঁর স্নেহবৰেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত। তবে আবু জাফর ওবায়দুলস্নাহ বেঁচে আছেন ও থাকবেন সন্তানহারা মায়ের শিশির ভেজা চোখে, সাহসী পুরুষের সহিষ্ণু প্রতীৰায়, কিংবদন্তীর কথামালায়। _বিজ্ঞপ্তি।

No comments

Powered by Blogger.