ইমরান ও কাদরির যৌথ হুঙ্কারে পাকিস্তানে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে? by ড. মনির আহমেদ করাচি

হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে চলেছে পাকিস্তানের রাজনীতি সাধারণ নির্বাচনের দিকে। তবে নির্বাচন সময়মতো হবে কি না এ নিয়ে অনেকেই সন্দিহান যদিও সব রাজনৈতিক দল একই কোরাস গেয়ে চলেছে।
নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হতেই হবে। মে মাস নাগাদ নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও সবাই চাচ্ছেন নির্বাচন দুর্নীতি মুক্ত হোক, তবে রাজনৈতিক দলগুলো মোটামুটি দুই শিবিরে অবস্থান নিয়েছে। এক শিবির বলছে পরিবর্তিত পদ্ধতিতে নির্বাচন অপর শিবির অপরিবর্তিত নিয়মে নির্বাচন করার পক্ষপাতী। এখানেই বেধেছে যতগোল। হঠাৎ করেই তেহরিকে ইনসাফ দাবি তুলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের। দলটির মতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাবেক জজ ফকরুদ্দিন জি ইবরাহিম একজন সৎ মানুষ। তার ওপর আস্থা রাখা যেতে পারে। তবে বাকি তিন সদস্যের বিষয়ে দলটির বক্তব্যে রয়েছে তীèবাণ। ওই বক্তব্যের সাথে মিল রয়েছে তাহেরুল কাদরির মতাদর্শের। তিনিও শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন কমিশন পুনর্গঠনের। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সম্পর্কে তার বক্তব্য হলো, তিনি নিবেদিতপ্রাণ। কিন্তু বয়সেরভারে তার পক্ষে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন কষ্টকর। যে দিন তিনি লংমার্চ করে রাজধানীতে ধরনা দিয়েছিলেন সেই দিন থেকেই তিনি নিজ বক্তব্যে অনড় রয়েছেন। তার কিছু দাবি সরকার মেনে নিয়ে আপাতত বিপদমুক্ত হয়েছিল।  বাকি বিষয়ে আলোচনা চলবে বলে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু পরবর্তী আলোচনা পলপ্রসূ না হওয়ায় ড. কাদরির পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে যে তিনি আদালতের কড়া নাড়বেন। যে কথা সেই কাজ বৃহস্পতিবার তিনি সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন এই মর্মে যে, উপস্থিত নির্বাচন কমিশন আইনবহির্ভূত। তাকে সংবিধান অনুযায়ী পুনর্গঠিত হতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি সংবিধানের ২১৩ ধারার উল্লেখ করেন। তিনি জানান যে, আদালতে তিনি নিজে জেরা করবেন।

উল্লেখ থাকে যে, ধারণা করা হচ্ছিল কাদরির লংমার্চের সাথে দলবল নিয়ে তেহরিক ইনসাফ পক্ষে নামবে। কাদরি সাহেবও এমনই ধারণা দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ তেমনটি ঘটেনি। দলের আভ্যন্তরীণ চাপ ঠেকিয়ে ইমরান খান নিজেকে রাজপথ থেকে দূরে রাখেন। বলেন যে, তার দল আইন নিজ হাতে নেবে না। নির্বাচনের মাধ্যমেই তিনি ক্ষমতায় আসবেন। তিনি এও বলেন যে, যদি তিনি তার সুনামী পথে নামাতেন তাতে খাকির জন্য রাস্তা প্রসারিত হতো। তাই তিনি ওই পথ পরিহার করেন। পরে তাহেরুল হক কাদরির অনুরূপ বক্তব্য দেন। যদি আরো দু’চার মিনিট দেরি করা হতো তো মিলিটারি শাসন ন্যস্ত হতো। তাই নাকি তিনি ঝটপট অবস্থান ধর্মঘট শেষ করে দেন।

কিন্তু আজ প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে কাদরি আবারো নতুন পথে নামবার ঘোষণা দিয়েছেন, তবে কি মার্শাল ল’কে তিনি দাওয়াত দিচ্ছেন? এবার কিন্তু ইমরানও তার সহযোগী হচ্ছেন। ইতোমধ্যে দলের পক্ষ থেকে শাহ মাহমুদ কোরেশী ও জাভেদ হাসমি কাদরির সাথে দেখা করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। ওই বিষয়ে তারা একমত যে, সম্মিলিত সরকার যদি পক্ষপাতহীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের ব্যর্থ হয় তো তারা জোরদার সম্মিলিত আন্দোলন চালাবেন। উপরন্তু তারা এও দাবি তুলেছেন যে, প্রেসিডেন্টের যৌথ অফিস ধরে রাখার বিষয়ে কোর্টের ত্বরিত রায় বের হতে হবে।

ড. কাদরির শেষোক্ত বক্তব্য থেকে এও জানা গেছে, দল দু’টির সাথে মুসলিম লীগ কিউও একই লাইনে দাঁড়াবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যাপারে দলটির রায় অভিন্ন বলে জানা গেছে। আরো জানা গেছে, তেহারিকে ইনসাফ সমভাবাপন্ন দলগুলোর সাথে কথাবার্তা চালিয়ে শক্তিসম্পন্ন বিরোধ শিবির গঠনে তৎপর হয়ে উঠেছে।

এ দিকে নওয়াজ মুসলিম লীগের শরীরে যেন ঝালাপালা লেগেছে। দলটির ধারণা উল্লিখিত তিনটি দলের সাথে মোশাররফও যোগ দিয়েছে, যাতে সাধারণ নির্বাচনকে পিছিয়ে আনা সম্ভব হয়। ওদের মতলব খারাপ বলে অভিহিত করেছেন দলের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ। তবে তারা নাকি ওই অভিসন্ধি কার্যকর হতে দেবে না। তাদের বক্তব্য সময়সীমা পেরিয়ে গেলে যে নির্বাচন হবে তাতে লাভবান হবে জার্দারি। তাই অনেকের ধারণা ত্রিপক্ষীয় আন্দোলনের নেপথ্যে জারদারি কাজ করে চলেছেন। তাই হয়তো আন্দোলনে জোর ধরলে বাহানা বানিয়ে সরকার ওদের দাবি মেনে নেবে, এমন ধারণাও দিচ্ছেন অনেকে।

এমন বক্তব্যও বিরল নয় যে, ইদানীং তেহরিকে ইনসাফের রেটিং কমে যাওয়ায় দলটি আন্দোলনের পথে থামতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

lank� t�O� �-� -family: Mangal;mso-bidi-language:HI’>।


আলোচকেরা বলেন, হবীবুল্লাহ বাহার বিশ শতকের বাঙালি মুসলমানের প্রগতিবাদী ইতিহাসের ধারায় এক স্মরণীয় নাম। মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে আধুনিক চেতনার উদ্বোধনে অগ্রণী ভূমিকা ছিল তার যদিও সময়ের নির্মম বিচারের স্বীকার হতে হয়েছে তাকে। কবি কাজী নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ সংসর্গ তার জীবনে সঞ্চার করেছিল নতুন মাত্রা। তারা বলেন, হবীবুল্লাহ বাহার সম্পাদিত বুলবুল পত্রিকা বাংলার সাময়িকপত্রের ইতিহাসে বিশিষ্টতার দাবি রাখে। এ পত্রিকার অসাম্প্রদায়িক নীতি ও চেতনা সমকালে ছিল দুর্লভ।

সন্ধ্যায় মিজানুর রহমান পান্নার পরিচালনায় খুলনার সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রূপান্তর’ এবং অসীম সাহার পরিচালনায় ‘সহজিয়া’ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

মেলামঞ্চে আজ : আজ সকাল ১০টায় শিশু-কিশোর সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই এবং বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন শান্তনু কায়সার। আলোচনায় অংশ নেবেন হরিশঙ্কর জলদাস, সফিকুন্নবী সামাদী ও অদিতি ফাল্গুনী। সভাপতিত্ব করবেন কামাল লোহানী। সন্ধ্যায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
       


No comments

Powered by Blogger.