ঘাদানিক ও বামেরা সমাবেশের নেপথ্যে

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে চলমান আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক) ও বাম দলের নেতারা।
সমাবেশে যারা সংহতি জানিয়েছেন তারা সরকারি ঘরানার বামপন্থী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সবার আগে আন্দোলন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীরা। কিন্তু পরে বাম দলগুলো তাদের ছাত্র সংগঠন দিয়ে কৌশলে আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে নেন। অতীতের বিভিন্ন আন্দোলনেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আরো জানা গেছে, আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলা একাডেমীতে বসে বাম নেতারা আন্দোলনকে পর্যবেণ করেন। ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী ও ছাত্রফ্রন্টের নেতারা পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে দফায় দফায় বৈঠকে বসে আন্দোলনের হাল ধরেন। এর মধ্যে ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, সেক্রেটারি তানভীর রুসমত, ছাত্র ইউনিয়নের সেক্রেটারি হাসান তারেকসহ সাবেক নেতারা বৈঠকে মিলিত হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এ দিকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে চলমান সমাবেশকে চাঙ্গা রাখতে ১০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। আন্দোলনের খবর প্রচার করতে এত বিশাল টাকার বড় অংশ কিছু মিডিয়ার পে ব্যয় করতে হয়েছে। শাহবাগের আন্দোলনে একটি বিদেশী দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে রেখে উসকানি দিতে থাকেন।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এই রায় মানতে না পেরে ওই দিন থেকেই ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে এ আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু কৌশলে আন্দোলনের নেতৃত্ব নেয় বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা। এরপর ছাত্রলীগও নেতৃত্ব নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তারাও ব্যর্থ হয়।

এরপর বাম নেতারা দফায় দফায় বৈঠকে বসে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজের নেতাকর্মীদের আন্দোলনে নিয়ে আসেন।

চলমান আন্দোলনে রাজাকারের ফাঁসি দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী লাকী আক্তারা। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অনার্সের ছাত্রী। তিনি মুহুর্মুহু বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের উজ্জীবিত করে তোলেন। এভাবে সেখানে আন্দোলনের বিভিন্ন বিষয়ে দফায় দফায় দিকনির্দেশনামূলক বক্তৃতা দেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম। পর্যায়ক্রমে আরো বক্তৃতা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, মানবেন্দ্র দেব, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফুল ইসলামসহ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতারা।

No comments

Powered by Blogger.