১ মার্চ চালু হচ্ছে রাউজানের একটি বিদ্যুত ইউনিট- শীঘ্রই কয়লাভিত্তিক জোন by মহসিন চৌধুরী

বিদ্যুত সঙ্কটের মুখে চট্টগ্রামবাসীর জন্য সুখবর। রাউজান বিদ্যুত কেন্দ্রের দু'টির মধ্যে একটি ইউনিট চালু করা হচ্ছে ১ মার্চ। গ্যাসের অভাবে চার মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এখানে।
স্থায়ী নিরসনে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারার পারকিতে গড়ে তোলা হবে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুত উৎপাদন জোন। এখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত উৎপাদন হবে ২৬০০ মেগাওয়াট। পিডিবি ও বিজিএসএল সূত্র জানায়, কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে বিদেশী বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত রফতানিমুখী সার কারখানা কাফকো এক মাসের সিডিউল শাট ডাউনে যাচ্ছে। আগামী ১ মার্চ থেকে এখানে ইউরিয়া সার ও এ্যামোনিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দ্বিবার্ষিক রণাবেণ কাজ শুরম্ন করবে। ২০০৮ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে এ ইউরিয়া সার কারখানার সর্বশেষ দ্বিবার্ষিক রণাবেণ কাজ সম্পন্ন হয়। সে অনুযায়ী ফেব্রম্নয়ারিতেই রণাবেণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তাই গ্রীষ্মের প্রাক অবস্থাতেই কাফকোর দ্বিবার্ষিক রণাবেণ কাজের সময় নির্ধারণ করা হয়। ২৮ ফেব্রম্নয়ারি কাফকো উৎপাদন বন্ধ করলে দৈনিক ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পিডিবিকে বরাদ্দ দিতে পারবে বলে বিজিএসএল (বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেড) তাদেরকে অবহিত করেছে। এ গ্যাস দিয়ে রাউজানের যে কোন একটি ইউনিট উৎপাদনে সম। শিকলবাহা তাপবিদু্যত কেন্দ্রও অনিয়মিতভাবে উৎপাদনে সম হবে। সিইউএফএল বন্ধ হলে চট্টগ্রাম বিদু্যত উৎপাদন জোনের সব ইউনিট চলতে সম। কিন্তু শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে সরকার ইউরিয়ার স্বার্থে সিইউএফএলকে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। ৮ মাস বন্ধ থাকার পর সিইউএফএল গত নবেম্বরে উৎপাদন শুরম্ন করেছিল। গ্যাসের অভাবে ৮ নবেম্বর ৪২০ মেগাওয়াট মতার রাউজানের ২টি ইউনিট এবং ২৭ ডিসেম্বর শিকলবাহা ৬০ মেগাওয়াট বিদু্যতকেন্দ্র উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।

No comments

Powered by Blogger.