ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ-র‌্যাব

আজ বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতাল চলাকালে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১২ হাজার পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হরতালে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এদিকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে জামায়াত-শিবিরকে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধের জন্য গতকাল বুধবার ছাত্রলীগের এক সমাবেশে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, আজ রাজধানীতে ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে প্রায় ৪৫০টি স্থানে (পিকেট) পুলিশ থাকবে। এ ছাড়া টহল দল, ভ্রাম্যমাণ স্ট্রাইকিং দল, ক্যামেরাসহ প্রমাণ সংগ্রহ দল এবং সাদা পোশাকের গোয়েন্দারাও থাকবেন। আজ হরতালে প্রধান বা ভিআইপি সড়কগুলোতে মিছিল করতে দেবে না পুলিশ। বিশেষ করে বিমানবন্দর সড়ক, মিন্টো রোড, টঙ্গী ডাইভারশন রোড ও রামপুরা বিশ্বরোডের দিকে বেশি নজর রাখা হচ্ছে।
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সূত্র জানায়, হরতালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি রাজধানীজুড়ে টহল দেবেন দুই হাজার র‌্যাব সদস্য। সাদা পোশাকেও কিছু র‌্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া প্রস্তুত থাকবে র‌্যাবের বোমা অপসারণ দল ও ডগ স্কোয়াড। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত সদস্য টহল দেবেন। কোনো রকম অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা হলে র‌্যাব সদস্যরা প্রতিরোধ করবেন।
প্রতিহত করার আহ্বান: গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
সমাবেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করতে ছাত্রলীগের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে জামায়াত-শিবিরকে গণধোলাই দিচ্ছে। তারা আবারও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে পাড়ায়, মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। জনগণকে নিয়ে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিন।’
ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রমুখ।
এদিকে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ আজ দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।

No comments

Powered by Blogger.