বিপিএল এখন চট্টগ্রামে

স্টেডিয়ামে ঢোকার মুখেই ‘জাগো কিংস’ নামের বিশাল ব্যানার। দেয়ালে দেয়ালে সাঁটা ‘জাগো চট্টগ্রাম’ আহ্বানসংবলিত পোস্টার। প্রথম তিন ম্যাচে মাত্র একটি জয় পাওয়া চিটাগং কিংসকে জাগানোর জন্য গতকাল শহরে ট্রাক শোভাযাত্রাও হয়েছে।
ঘরের মাঠে কিংস কতটা জাগবে, সেটা আজ বিকেলে বলা যাবে। তবে এর আগেই জেগে উঠেছে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম।
বহুদিন পর ক্রিকেটের বড় কোনো আসরের ছোঁয়ায় এখন স্টেডিয়াম অঙ্গনে প্রাণচাঞ্চল্য। কাল যখন অনুশীলনের জন্য তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকরা মাঠে ঢুকছিলেন বাইরে তখন শত শত উৎসুক ক্রিকেটপ্রেমী। বড় আকর্ষণ ছিলেন ব্রায়ান লারাও। কীভাবে কীভাবে যেন গ্যালারিতেও ঢুকে পড়েছিল শ দুয়েক দর্শক। প্রায় সাত বছর পর আবার ক্রিকেট তারকাদের পদস্পর্শ পেল এই স্টেডিয়াম।
২০০৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় এই মাঠেই। এর পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট-বিবর্জিত এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের সবুজ মাঠ নতুন করে জেগে উঠেছে যেন। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টজয়ী দলের সদস্য খালেদ মাসুদ এখন রাজশাহী দলের কোচ। স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লেন নাকি তিনি, ‘এই মাঠে অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য লাকি গ্রাউন্ড। শহরের মাঝখানে বলে এই স্টেডিয়ামে অনেক দর্শক হয়। বিপিএলেও হবে বলে মনে হচ্ছে। ক্রিকেটাররা খেলে মজা পাবে।’
ঢাকার পর খুলনায়ও শেষ দিনের আগ পর্যন্ত দর্শক-খরায় ভুগতে থাকা বিপিএল চট্টগ্রামে দর্শক পাবে কি না, সেটা সময় বলে দেবে। তবে আয়োজকেরা আশাবাদী। এটা তাদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জও। গ্যালারি ভরানোর নানা উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশন তাদের পরিচালিত স্কুলগুলোর জন্য বিপিএলের ১০ হাজার টিকিট কিনছে। এ ছাড়া চিটাগং কিংসও তাদের খেলার দিন নিজেরা কিছু টিকিট কিনছে। চলছে মাইকিংও।
বিপিএল আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান সিজেকেএস সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিন তাই আশাবাদী, ‘দর্শক হবে। সেটা লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে। আর আমাদের সব আয়োজন সম্পন্ন। এখন শুধু খেলা শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা।’
গতকাল একে একে সব কটি দলই অনুশীলন করেছে স্টেডিয়ামে। সকাল ১০টায় শুরুটা রাজশাহীকে দিয়ে। এর পর এল চিটাগং কিংস। আজ বেলা দুইটায় চিটাগং-সিলেট ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে বিপিএল চট্টগ্রাম পর্বের। চিটাগংয়ের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ স্বাগতিক হওয়ার সুবিধাটা কাজে লাগাতে চান। ‘গতবার ঢাকায় জিতে চট্টগ্রাম এসে ম্যাচ হেরেছি। এবার ঢাকায় হেরে চট্টগ্রাম এসেছি। স্থানীয় দর্শক সমর্থন আমাদের পক্ষেই থাকবে। এবার তাই উল্টোভাবে শুরু করব’—বললেন তিনি।

ফিকশ্চার: চট্টগ্রাম পর্ব
২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-সিলেট বেলা ২টা
বরিশাল-রাজশাহী সন্ধ্যা ৬টা
২৯ জানুয়ারি ঢাকা-সিলেট বেলা ২টা
খুলনা-রংপুর সন্ধ্যা ৬টা
৩০ জানুয়ারি বিরতি
৩১ জানুয়ারি সিলেট-রংপুর বেলা ২টা
বরিশাল-চট্টগ্রাম সন্ধ্যা ৬টা
১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-রাজশাহী বেলা ২-৩০ মি.
চট্টগ্রাম-খুলনা সন্ধ্যা ৬-৩০ মি.
২ ফেব্রুয়ারি বরিশাল-রাজশাহী বেলা ২-৩০ মি.
ঢাকা-চট্টগ্রাম সন্ধ্যা ৬-৩০ মি.

No comments

Powered by Blogger.