যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের ষড়যন্ত্র রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবেঃ আমু

যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে জাতীয় এজেন্ডা হিসেবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, এ বিচার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল।
জনগণ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ভোট দিয়েছে। তাই যুদ্ধাপরাধীদের কেউ রা করতে পারবে না। বিচার বানচালের সব ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে। ১৪ দল ঘোষিত দেশব্যাপী গণসংযোগ, জনসভা ও গণপদযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে গতকাল এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির কার্যালয়ে এ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাঈন উদ্দিন খান বাদল, সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির পুলিট ব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, সাম্যবাদী দলের আবু হাসেম সাহাবুদ্দিন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের অসিতবরণ রায় ও আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস। ‘রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের বিচার জনগণ মানবে না’ বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘এ কথা তাদের মুখেই শোভা পায় যারা দলছুট, সুবিধাবাদী ও সুযোগসন্ধানী। যুদ্ধাপরাধীর বিচার অবশ্যই রাজনৈতিক এজেন্ডা, তবে দলের নয়, এটা জাতীয় এজেন্ডা।’

বিএনপির কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। কয়েকটি দল থেকে সুবিধাবাদীরা একত্রে একটি দল গঠন করে মতায় এসে লুটপাট করেছে। তারা যখন যেমন, তখন তেমন।’ গত শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের নিন্দা ও ােভ জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.