গার্মেন্ট কারখানায় আগুন- নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শ্রমিক গ্রুপের আহ্বান

বাংলাদেশের তৈরী পোশাক কারখানাগুলোতে ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো অগ্নিদুর্ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে প্রধান প্রধান ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন।
শনিবার ঢাকায় স্মার্ট এক্সপোর্ট গার্মেন্ট লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত সাতজন নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে রোববার এই আহ্বান জানানো হলো। কর্মস্থলের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আহ্বান জানিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে কিন কোথস ক্যাম্পেইন (সিসিসি), দ্য ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়াম (ডব্লিউআরসি) ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার রাইটস ফোরাম (আইএলআরএফ)। সংগঠনগুলো বলেছে, যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ জাতীয় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে হবে। আইএলআরএফ জানায়, করপোরেট নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণব্যবস্থা ব্যর্থ হওয়ায় ১৯৯০ সালের পর থেকে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক কারখানাগুলোতে এক হাজারের বেশি লোক মারা গেছে। আইএলআরএফের নির্বাহী জুডি গিয়ারহার্ট বলেন, তৈরী পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জীবন যে ঝুঁকিতে রয়েছে, তা জেনেও চোখে পড়ার মতো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, ব্র্যান্ডগুলো এখনো তাদের নিরীক্ষা প্রতিবেদন গোপন করে যাচ্ছে, তারা তাদের সুবিধামতো অবস্থান গ্রহণ করছে, ট্রেড ইউনিয়নগুলো এখনো কোণঠাসা রয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনগুলো সম্প্রতি তাজরীন ফ্যাশন্সে ১১২ জন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনাটিও উল্লেখ করে।

দ্য ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক স্কট নোভা বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার পদক্ষেপ নিতে ওয়ালমার্ট, গ্যাপ, এইচঅ্যান্ডএমসহ অন্যান্য ব্র্র্যান্ডের সামনে আর কত শ্রমিককে প্রাণ দিতে হবে? উল্লেখ্য, শ্রমিক অধিকার গ্রুপগুলো অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড ও অন্য ক্রেতাদের অর্থায়ন করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
       

No comments

Powered by Blogger.