‘কম্বলটা পাইছি, রাইতে কষ্ট কমবে’

‘কেউ মোগো বস্তিতে আইয়া এই রহম কিছু দেয় না। অনেক ঘুরছি, কিছু পাই নাই। এই কম্বলটা পাইছি, রাইতে কষ্ট কমবে।’ পটুয়াখালীর শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করছিলেন বস্তিবাসী নূরভানু।
প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে বন্ধুসভার সদস্যরা গতকাল রোববার পটুয়াখালী ও মাগুরায় ২৩০ জন দরিদ্র নারী-পুরুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন।
পটুয়াখালী শহরের পুরাতন বাজার এলাকার টাউন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গতকাল সকালে ২০০ জনের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এতে সহযোগিতা করে ডার্ট ফ্যাশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন বস্তিবাসীর মধ্যে এই কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রব, সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের (সুপ্র) জেলা সভাপতি শ ম দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষক হোসেন শহীদ হায়দার, সমাজসেবক পবিত্র কুমার দে প্রমুখ।
একই দিন সকালে মাগুরার শ্রীপুরের শরাইনগর ও খোর্দ্দ রহুয়া গ্রামের ৩০ জন নারীকে কম্বল দেওয়া হয়। মাগুরা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে খোর্দ্দ রহুয়া রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কম্বল বিতরণকালে বন্ধুসভার সদস্য হেলাল হোসেন, শারমিন সুলতানাসহ স্থানীয় অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কম্বল পেয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন বৃদ্ধা ছটু বিবি (৮৫)। তিনি বলেন, ‘ছাওয়ালরা বিয়ে করে চলে গেছে, খোঁজ রাহে না। এত দূরতে আইসে কেউ কম্বল দিবি, স্বপ্নেও ভাবিনি।’
সহায়তা অব্যাহত: দুস্থ ব্যক্তিদের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অর্থ ও শীতবস্ত্র সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ত্রাণ তহবিলে জমা পড়েছে ২০ লাখ সাত হাজার ৯৮০ টাকা। এ টাকায় কম্বল কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তহবিলে জমা পড়েছে পাঁচ হাজার ৭১১টি কম্বল, ৪৩৩টি সোয়েটার, ২২ বস্তা পুরোনো কাপড় ও ১৭০টি চাদর। এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১৫৬ জনকে কম্বল ও শীতবস্ত্র দেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.