ধার্ত সিন্ড্রম-রোগীদের ভাবনা

সুমনের বয়স ২০, নাকে মুখে হতাশার ছাপ। চোখ মুখ দেখলেই মনে হয় ঘুম হয় না কি যেন ভাবছে। সুমনের সমস্যা প্রসাব করার পর ক্যালসিয়াম যায়, ধাতু যায়,
শরীরে শক্তি পায় না, কাজকর্ম করতে পারে না, ঘুম আসে না, তার বিভিন্ন প্রশ্ন_ ডাক্তার আমি কি বিয়ে করতে পারব? আমি কি ভাল হব? এই সমস্যা নিয়ে সুমন এই ডাক্তার ঐ ডাক্তার হরেক রকম পরীৰা নিরীৰা এবং বিভিন্ন ধরনের হোমিওপ্যাথি, ফকির কবিরাজের ওষুধ খেয়ে কোন উন্নতি না পেয়ে হতাশায় ভুগছিল। এই ভাবে চলে গেছে ২টি বছর। পরিশেষে ভাল হওয়া একজন ধার্ত সিন্ড্রমের রোগীর পরামর্শক্রমে সাইকিয়াটিস্টের চিকিৎসায় সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।

যদিও বাংলাদেশে কোন পরিসংখ্যান নেই, তবে ধার্ত সিন্ড্রমের রোগীর সংখ্যা নিহায়ৎ কম নয়। এইসব রোগী ইন্ডিয়া, নেপাল ও বাংলাদেশের মতো সব দেশেই বিদ্যমান। ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় বেশি ভোগে। যুবকরাই বেশি আক্রানত্ম। মেয়েদের লৰণের মধ্যে থাকে অতিরিক্ত লিউকোরিয়া যায় যা তার শরীর স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার জন্যে দায়ী।

কি কি লৰণ থাকে_
সেক্সের লৰণের মধ্যে :
০ প্রসাবের আগে পরে ক্যালসিয়াম যায়।
০ লিঙ্গ ছোট, গোড়া চিকন আগা মোটা।
০ লিঙ্গ গরম হয় না।
০ প্রসাবের পরে সাদা সাদা ধাতু যায়।
০ তবে মেইন সমস্যা থাকে যে, প্রসাবের পরে ধাতু যায় যা শরীরের ভাইটাল ফুইড। এই কারণে শরীরে কোন শক্তি থাকে না। সব ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

শারীরিক লৰণের মধ্যে :
০ রোগীর মধ্যে থাকে অসংখ্য নেতিবাচক ধারণা।
০ দুর্বল লাগে, ঘুম আসে না।
০ বুক ধড়ফড় করে।
০ মন বেশি খারাপ থাকে।
০ নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। ভবিষ্যতে বিয়ে করতে পারবে কিনা? বউ থাকবে কিনা। ইত্যাদি।

রোগীদের ভাবনা
০ রোগীর মধ্যে সেক্স সংক্রানত্ম নানা ধরনের নেতিবাচক চিনত্মা-ভাবনা থাকে, যা থেকে ওদের মধ্যে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন।
০ প্রসাবের সাথে ধাতু লস হয়, এই কারণে প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়।
০ জোরে জোরে কোঁত দিলে সাদা সাদা কি যেন প্রসাবের পর বের হয়।
০ শরীর থেকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সরে যায়। এর ফলে যৌনশক্তি চলে যায়।
০ অনেক রোগী বলে অতিরিক্ত হসত্মমৈথুন করার ফলে শক্তি আগেই নষ্ট করে ফেলেছি।
০ কেউ কেউ বলে নাইট প্রেশারের কারণে শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে।

চিকিৎসা

০ সামাজিক কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
০ সেক্স এডুকেশন।
০ ধার্ত সিন্ডমের ৬৬% রোগীর বিষণ্নতা থাকে অতএব বিষণ্নতাবিরোধী ওষুধ সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শক্রমে চালিয়ে যাওয়া উচিত।
০ সাথে সাইকোথেরাপি দিয়ে রোগীকে বিষয়টা বোঝানো।

ডা. মোঃ দেলোয়ার হোসেন
সহকারী অধ্যাপক
মাথাব্যথা, টেনশন, ব্রেন ও মাদকাসক্তি বিষেশজ্ঞ

No comments

Powered by Blogger.