থাকতে নয়, বেড়াতে গিয়েছিলাম

তারিন, আপনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। দেশে কবে ফিরলেন? ৯ জানুয়ারি। এবার পুরো চার মাস থেকে এলাম। হঠাৎ এত দিন থাকলেন?
টানা এক বছর কাজ করেছি।
কাজ করতে করতে একেবারে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। একটু বিরতি নেওয়ার দরকার ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে আমার দুই বোন আছেন। তাঁদের কাছেই ছিলাম।
কিন্তু কেউ কেউ বলছিলেন, আপনি নাকি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে থেকে যাবেন?
শুধু বলেননি, ঢাকার কিছু পত্রিকায় তা ছাপাও হয়েছে। যে সংবাদ আমাকে নিয়ে লেখা হচ্ছে, আমি বা আমার পরিবার এর কিছুই জানি না। আমার সঙ্গে কথা না বলে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে কার কী লাভ হয়েছে, জানি না। আমি সবাইকে জানাতে চাই, থাকতে নয়, বেড়াতে গিয়েছিলাম।
যুক্তরাষ্ট্রে আপনার বিয়ে হবে—এমন কোনো কথা ছিল?
এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বিয়ের জন্য আমাকে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হবে কেন! বিয়ের কথা যখন চূড়ান্ত হবে, তখন সবাই তা জানতে পারবেন। সবাইকে জানিয়েই বিয়ে করব। আর বিয়ের ব্যাপারটি আমার পরিবার দেখছে।
এসব সংবাদ আপনার ওপর কোনো প্রভাব ফেলেছে?
একেবারেই না। একসময় এ ধরনের সংবাদ দেখলে বা শুনলে খুব রাগ হতো। এখন আর তা হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর কিন্তু ফেসবুকে আমার দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ ঠিকই ছিল। সবার বার্তাগুলো পড়ে মনে হয়েছে, তারা এসব সংবাদকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না।
তৌকীর আহমেদের ‘ছায়াবৃতা’র কাজ তো যুক্তরাষ্ট্রে করেছিলেন।
ধারাবাহিকটি এখন এটিএন বাংলায় প্রচারিত হচ্ছে। এই নাটকের কাজ কিন্তু অনেক আগেই শেষ করেছি।
‘আকাশ দেব কাকে’ অ্যালবামের পর গান নিয়ে কিছু ভেবেছেন?
আবার গান করছি। অরুণ চৌধুরীর কাহিনি আর চয়নিকা চৌধুরীর স্বপ্নগুলো জোনাক পোকার মতো নামে দুটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। পাশাপাশি এ দুটি ধারাবাহিকের শিরোনাম গানে আমি কণ্ঠ দেব। এখন একটু ঠান্ডা লেগেছে। সুস্থ হয়ে দুটি গানেই কণ্ঠ দেব।

No comments

Powered by Blogger.