জামায়াত-শিবির দেশের আবর্জনা

 জামায়াত-শিবির হচ্ছে দেশের আবর্জনা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আবর্জনার মতো দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন পরিকল্পিতভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
উন্নয়ন কর্মকা- গতিশীল রাখতে হলে জামায়াত-শিবিরকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত 'ডিজিটাল বাংলাদেশ : মহাজোট সরকারের উদ্যোগ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। সেন্টার ফর ন্যাশনাল রিজিওনাল স্টাডিজ (সিএনআরএস) আয়োজিত গোলটেবিলে সভাপতিত্ব করেন শিৰাবিদ অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুলস্নাহ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রায় রমেশ চন্দ্র, প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সভাপতি একেএম আজম খান, প্রজন্ম '৭১ সভাপতি আজিজুর রহমান, ইকবাল হোসেন সবুজ প্রমুখ।
গোলটেবিল আলোচনার প্রথমে ডিজিটাল বাংলাদেশ : মহাজোট সরকারে উদ্যোগ বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন আইটি বিশেষজ্ঞ রাজিব চৌধুরী।
বক্তারা বলেন, যখন জাতির প্রত্যাশা পূরণে মহাজোট সরকার ডিজিটাল দেশ গড়ার লৰ্যে কাজ করে যাচ্ছে তখন দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে সারাদেশে সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্বাধীনতাবিরোধী ধমর্ীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী। জামায়াত-শিবির নামের উগ্র এ গোষ্ঠী দেশকে নিয়ে যেতে চায় মধ্যযুগীয় অন্ধকারের দিকে। বিশৃখলা সৃষ্টির জন্য তারা বেছে নিয়েছে শিৰা প্রতিষ্ঠানকে। সুকৌশলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ফারম্নক হোসেনকে হত্যার পর হত্যা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীকে। দেশের উন্নয়ন ব্যাহত এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ ঠেকাতে জামায়াত-শিবির চক্র এমন কর্মকা- করছে বলে উলেস্নখ করেন বক্তারা। জনগণের স্বপ্নের ডিজিটাল দেশ গড়তে হলে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। উগ্র ধর্মীয় এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা না গেলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে বক্তারা অভিমত দেন।

No comments

Powered by Blogger.