মোহাইমেনুল রিমান্ড শেষে জেলে ॥ আরও ২০ শিবির কর্মী রিমান্ডে

 চবি ছাত্র মহিউদ্দিন মাসুম হত্যা মামলার প্রত্যদর্শী মোহাইমেনুল ইসলামকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার জিআরপি থানা পুলিশ এ আসামিকে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেলে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করে।
এ ছাড়া চবির বিভিন্ন কটেজ থেকে গ্রেফতার করা ১৯ শিবির কর্মীও দু'দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এখন কারাগারে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মোহাইমেনুল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড শেষ হলে শুক্রবার বিকেলে তাকে আনা হয় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রশীদের আদালতে। জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। সে বার বার বলেছে, শিবিরের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। হামলাকারীদের সে চেনে না। রেলস্টেশন এলাকার দোকানদারসহ যে ক'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের বক্তব্য হচ্ছে_তাঁরা ঘটনা দেখেননি। পুলিশের প থেকে আর কোন আবেদন না করায় আদালত মোহাইমেনুলকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
এদিকে, চবির বিভিন্ন কটেজ থেকে গ্রেফতার করা ১৯ শিবির কর্মীকে দু'দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার বিকেলে সোপর্দ করা হয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে। আদালতের নির্দেশে তাদেরও প্রেরণ করা হয় জেল হাজতে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন জানান, ১৯ জনকে কারাগারে প্রেরণের পর চতুর্থ দফায় আরও ২০ জনকে দু'দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মামলার তদনত্মের সঙ্গে সংশিস্নষ্ট জিআরপি থানার এক কর্মকর্তা জানান, মামলাটি তদনত্মের দায়িত্ব শেষ পর্যনত্ম সিআইডির ওপর ন্যসত্ম হবে। তবে এর জন্য রিমান্ডে প্রাপ্ত বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগবে। ৫ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে মোহাইমেনুলের কাছ থেকে গুরম্নত্বপূর্ণ তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.