কাশিমপুর কারাগারে জওয়ানের মৃত্যু ॥ গাজীপুর জেলখানায় বন্দীর আত্মহত্যা

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২-এ মঙ্গলবার রাতে বিদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত এক জওয়ানের মৃতু্য হয়েছে। তাঁর নাম গোলাম মোসত্মফা (৪৭)।
তিনি যশোরের ঝিকরগাছা থানার বাইশা গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে। নায়েক সুবেদার পদমর্যাদার গোলাম মোসত্মফা ৫নং রাইফেলস ব্যাটালিয়ন ও বিডিআর সদর দফতরের ক্রীড়া উইংসের সদস্য ছিলেন। তাঁর হাজতি নম্বর ২২২৫/০৯। এ ছাড়া গাজীপুর জেলা কারাগারে হত্যা হামলায় আটক এক বন্দী কারা হাসপাতালের বাথরম্নমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২-এর জেলার ফরমান আলী জানান, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ার জন্য কারারীরা নায়েক সুবেদার গোলাম মোসত্মফাকে ঘুম থেকে ডাক দেয়। কিন্তু ঘুম না ভাঙ্গায় তাদের সন্দেহ হয়। এ ঘটনা কারা কতর্ৃপকে জানালে মোসত্মফাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে তাঁকে গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভোর ৫টায় গোলাম মোসত্মফাকে আনা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার তপন কানত্মি সরকার জানান, রোগীকে মৃত পাওয়া গেছে। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় গ্রেফতারের পর তাঁকে ২০০৯ সালের ৫ এপ্রিল ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। সেখান থেকে ২০০৯ সালের ২৬ জুন তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি কাশিমপুর কারাগারের ২ নম্বর ভবনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বন্দী ছিলেন।
বুধবার বিকেলে গাজীপুরের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন হয়।
এ ছাড়া গাজীপুর জেলা কারাগারে আটক হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বন্দী কারা হাসপাতালের বাথরম্নমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার নাম মোঃ শহীদুলস্নাহ ওরফে তোতা মিয়া (৩৫)। হাজতি নং ১০০৭/১০। তিনি জামালপুর জেলা সদরের কমারীয়া শ্রীপুর গ্রামের মৃত হাসান ক্বারীর ছেলে।

No comments

Powered by Blogger.