বিদায়ী সাক্ষাৎকারে হিলারি-প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কোনো চিন্তা নেই

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা একেবারেই ভাবছেন না তিনি। বরং আরো 'রোমাঞ্চকর' কী করা যায়, সেই ভাবনাই পেয়ে বসেছে তাঁকে।
গত মঙ্গলবার সিএনএন টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাবেক এই ফার্স্ট লেডি। আগামীকাল শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শেষ অফিস করবেন হিলারি। এরই মধ্যে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সিনেটর জন কেরির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সিনেটের অনুমোদনও পেয়ে গেছেন তিনি।
সিএনএনকে দেওয়া বিদায়ী সাক্ষাৎকারে হিলারি বলেন, 'আমি কাজ করতে ভালোবাসি। কাজের উদ্যমও অফুরান। ভাগ্যই বলতে হবে যে আমি বেশ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।' তবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা একেবারেই ভাবছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। নিউ ইয়র্কের সাবেক এই সিনেটর বলেন, 'ঠিক কী কী করব, তার সবটাই এখনো জানি না। তবে ভাবছি নারী ও মেয়েশিশুদের নিয়ে কাজ করব।
আরেকটা স্মৃতিকথা লেখার পরিকল্পনা আছে। বিষয়ভিত্তিক বক্তা হিসেবেও কাজ করতে পারি।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে হিলারি বেনগাজির ঘটনা উল্লেখ করেন। গত সেপ্টেম্বরে লিবিয়ার বেনগাজির মার্কিন কনস্যুলেটে হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টফার স্টিভেন্সসহ চার মার্কিন নাগরিক নিহত হন। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হিলারিকে কংগ্রেসের জিজ্ঞাসাবাদেরও মুখোমুখি হতে হয়।
সাক্ষাৎকারে হিলারি বলেন, '১৩ বছর বয়সে স্কুলে পড়ার সময় থেকে কাজ করি আমি। জীবনে এমন সময় কখনো আসেনি যখন কিছু করার নেই বা কোথাও যাওয়ার নেই কিংবা কোনো ফোন আসার নেই- এমন বিলাসী সময় কাটিয়েছি। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, এ ধরনের সময় কাটাতে কেমন লাগে।'
সিএনএনসহ যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের সংবাদ ও সাংবাদিকতাবিষয়ক জাদুঘর নিউজিয়াম থেকে স্যাটেলাইট ও ইন্টারনেটের সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন হিলারি।
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত মঙ্গলবার সিনেটের অনুমোদন পেয়েছেন সিনেটর জন কেরি।
৯৪-৩ ভোটে কেরির প্রস্তাবটি পাস হয়। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের এই সিনেটর ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে সফল হতে পারেননি তিনি। ২৮ বছর ধরে সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। চার দফা সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রধান ছিলেন তিনি। ওবামার মনোনীত প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগলের ব্যাপারেও এ সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত নেবে সিনেট। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, জিনিউজ।

No comments

Powered by Blogger.