তারেক কোকোর ওয়ারেন্ট

 বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো ও জোট সরকারের সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলসহ ৮ জনের বিরম্নদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকার ভিন্ন ভিন্ন আদালত তাদের বিরম্নদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। অপর আসামিরা হলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কামরম্নজ্জামান, মাহবুবুল হাকিম, ওবায়দুল খন্দকার ও আজিজুল করিম।
আইনজীবী পদপে না নেয়ায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জামিন বাতিল করেছে আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর ৫ আসামি তারেক রহমানসহ সব আসামিই আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল হাইকোর্ট মামলাটির কার্যক্রম নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য স্থগিত করেন। কিন্তু তারেক রহমানসহ ৬ আসামির প হতে আদালতে সোমবারও কোন পদপে নেয়া হয়নি। এমন অবস্থায় মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তালুকদার ৬ জনের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ প্রদান করেন এবং মামলার পরবর্তী তারিখ ২১ এপ্রিল ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত,ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোমেন লিমিটেডের মহা-ব্যবস্থাপক মোঃ খায়রম্নল বাশার বাদী হয়ে ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৭ সালের বাদীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের জন্য ২শ' ৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পান। আসামিরা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে এসে কাজ পাওয়া বাবদ ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় কোম্পানির মালিক ও কর্মচারীদের গুলি করে মেরে ফেলার জন্য আসামিরা হুমকি দেয়। বাদী বাধ্য হয়ে আসামিদের ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ৫০ লাখ টাকা, ৭ নবেম্বর ৫০ লাখ টাকা, ২০০২ সালের ১৯ মার্চ ১ কোটি টাকা, ২৫ মার্চ ১ কোটি টাকা, ১৯ আগস্ট ৫০ লাখ টাকা, ১৫ জুন ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০০৩ সালের ৩ জুন ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ৬ জুলাই ৬ লাখ মোট ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা আসামিরা বাদীর কাছ থেকে গ্রহণ করে মর্মে আর্জিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
তারেক রহমান সরকারের নির্বাহী আদেশ বলে বিদেশে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর বিরম্নদ্ধে বারোটি মামলা রয়েছে।
সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উপকর কমিশনার শাহিন আক্তার হোসেন কোকোর বিরম্নদ্ধে ও মিজানুর রহমান পটলের বিরম্নদ্ধে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ এএনএম বশির উলস্নাহর আদালতে উপস্থিত হয়ে এ মামলা দু'টি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ শেষে গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ দেন। আগামী ১১ মার্চের মধ্যে কোকোর গ্রেফতার সংক্রানত্ম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ১০ মার্চের মধ্যে পটলের গ্রেফতার সংক্রানত্ম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঢাকার রামপুরা এবং নাটোর জেলার লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
কোকোর মামলার বাদী তাঁর আরজিতে উলেস্নখ করেন, আরাফাত রহমান কোকো ২০০২-০৩ করবছরে ৪ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৪ টাকা, ২০০৩-০৪ করবছরে ৭৫ হাজার ৩২৪ টাকা, ২০০৪-০৫ করবছরে ৬ লাখ ৯ হাজার ১০০ টাকা, ২০০৫-০৬ করবছরে ৪ লাখ ২ হাজার ১৩৪ টাকা এবং ২০০৬-০৭ করবছরে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ১১৪ টাকা সর্বমোট ৫২ লাখ ৩৯ হাজার ২২৬ টাকা আয় গোপন করে তাঁর ওপর প্রযোজ্য কর ফাঁকি দিয়েছেন। ওই মামলায় ২০ জনকে সাী করা হয়েছে।
পটলের মামলার বাদী তাঁর আরজিতে উলেস্নখ করেন, ফজলুর রহমান পটল ২০০৫-০৬ করবছরে জমাকৃত রিটার্নে তাঁর বিভিন্ন ব্যাংকে জমা ও জমার বিপরীতে প্রাপ্ত সুদসমেত মোট ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ২৮০ টাকার হিসাব গোপন করে তাঁর ওপর প্রযোজ্য কর ফাঁকি দিয়েছেন। এ মামলায় ৪ জনকে সাী করা হয়েছে।
সরকার প েমামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি শাহ আলম তালুকদার।
আরাফাত রহমান কোকোর আইনজীবী তাহেরম্নল ইসলাম তৌহিদ জানান, কোকো সরকারের নির্বাহী আদেশে বর্তমানে বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরও জানান, এ নিয়ে তাঁর বিরম্নদ্ধে ছয়টি মামলা হলো।

No comments

Powered by Blogger.