জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়- বেদখল ছাত্রাবাস উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল থাকা আরও ১০টি ছাত্রাবাস উদ্ধার, উন্নয়ন-ফি তিন হাজার টাকা প্রত্যাহার এবং প্রথম বর্ষের ভর্তিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী হল উদ্ধারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রজোট। পরে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার সাধারণ শিক্ষার্থী ছাত্রজোটের ব্যানারে যোগ দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তখন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ অংশ নেওয়ায় ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা ব্যানার গুটিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। পরে ছাত্রলীগ প্রশাসনিক ভবনের সামনে পৃথকভাবে সমাবেশ করে।
প্রশাসনিক ভবন অবরোধ শেষে বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মেসবাহউদ্দিন আহমেদ ওই সমাবেশে বক্তব্য দিতে সেখানে যান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিলে বক্তব্য না দিয়েই চলে যান তিনি।
সমাবেশে ছাত্রজোটের নেতারা বলেন, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সাত বছর পরও একজন শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেনি প্রশাসন। দেড় বছর আগে হাবিবুর রহমান নামে একটি হল উদ্ধার হলেও তার আইনগত জটিলতা নিরসন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাণী ভবন নামে আরেকটি হলের একাংশ দখল করে রেখেছেন স্থানীয় লোকজন। তাই বাণী ভবনসহ বেদখল থাকা আরও ১১টি হল উদ্ধারের দাবি করেন নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
উপাচার্য মেসবাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। কিন্তু হল চাইলেই রাতারাতি বানানো সম্ভব নয়। আর আজকের (গতকাল) আন্দোলনের কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন তিনি।’
সমাবেশে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক শরীফুল চৌধুরী, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি তাহমিদা ইসলাম, ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পদক মাসুদ রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.