তেহরান-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতা চুক্তি

ইরানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম ইয়ং-ন্যাম। যুক্তরাষ্ট্রের বৈরিতা মোকাবিলায় ইরানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ব্যাপারটিও পুনরায় নিশ্চিত করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি দেন কিম।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতামূলক একটি চুক্তি স্বাক্ষরও করেছে ইরান ও উত্তর কোরিয়া। এ চুক্তির আওয়ায় পিয়ংইয়ং ও তেহরান যৌথভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত গবেষণাগার নির্মাণ করবে এবং একে অপরের সঙ্গে গবেষক দল বিনিময় করবে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত বার্তাসংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) সম্মেলন উপলক্ষে তেহরান সফরকালে উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির প্রেসিডিয়ামের চেয়ারম্যান কিম গত শনিবার আহমাদিনেজাদের সঙ্গে দেখা করেন। কিম উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে গণ্য। এ সময় তেহরানের পাশে পিয়ংইয়ংয়ের 'জোরালোভাবে দাঁড়ানোর' বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরো সুদূরপ্রসারি করতে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের ঘন ঘন বৈঠকের ব্যাপারেও জোর দেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার 'সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও মার্কিনবিরোধী অবিচলিত' অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেন আহমাদিনেজাদ।
কেসিএনএ জানায়, শনিবার দুই দেশের মধ্যকার সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবেশ, কৃষি ও খাদ্য এই পাঁচ খাতে একে অপরকে সহযোগিতা করবে তেহরান ও পিয়ংইয়ং। এদিকে আগামী মাসে পূর্ণ শক্তিতে সামরিক মহড়া পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এতে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যবহার করা হবে। দেশটির সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার ফারজাদ এসমাইলি গত শনিবার এ কথা জানান।
নেতানিয়াহুর সতর্কতা : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল সতর্ক করে বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরতে নির্দিষ্ট করে দিনক্ষণ বেঁধে দিতে ব্যর্থ হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। আমি মনে করি, আমাদের সত্য বলা উচিৎ...। আন্তর্জাতিকভাবে ইরানকে সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে না এবং তারা তাদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় সংকল্পও দেখতে পাচ্ছে না।' সূত্র : এএফপি, আল-জাজিরা।

No comments

Powered by Blogger.