মেলেসকে শেষ বিদায় জানাল ইথিওপিয়া

ইথিওপিয়ার সদ্য প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মেলেস জেনাওয়ির রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল রবিবার। রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত এ শেষকৃত্যে শোক জানাতে জড়ো হয় হাজারো মানুষ। যোগ দেন আফ্রিকার অন্য দেশগুলোর নেতারাও। দীর্ঘ সময় ধরে ইথিওপিয়ার শাসন ক্ষমতা পরিচালনাকারী মেলেস জেনাওয়ি (৫৭) অসুস্থতার কারণে গত মাসে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের একটি হাসপাতালে মারা যান।


প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে রাখা তাঁর কফিনে সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি ধর্মীয় নেতারা, বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে একমাত্র ইরিত্রিয়া ছাড়া আফ্রিকার সব রাষ্ট্রপ্রধানই উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জিবুতির প্রেসিডেন্ট ইসমাইল ওমর গুয়েলা, কেনিয়ার মাওয়াই কিবাকি, সুদানের ওমর আল বশির, দক্ষিণ সুদানের সালভা কির এবং সোমালিয়ার শেখ শারিফ শেখ আহমেদ। এ ছাড়া বিশ্বের বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বও এতে অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে, যাঁদের মধ্যে অন্যতম মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
পরে পতাকা মোড়ানো কফিনটি শহরের মেসকেল স্কয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সম্পন্ন হয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানিকতা। অনুষ্ঠানে উপপ্রধানমন্ত্রী হাইলেমারিয়াম দেসালেন বলেন, 'প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শুধু ইথিওপিয়াই নয় বরং পুরো আফ্রিকার নবজাগরণে কাজ করেছেন। তাঁর নেওয়া সব উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করা হবে।'
১৯৯১ সালে কমিউনিস্ট নেতা মেঙ্গিসতু হাইলে মারিয়ামের সামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় বসেন সাবেক গেরিলা নেতা জেনাওয়ি। এরপর দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে নেতৃত্ব দেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন আফ্রিকার একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হিসেবে। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ ইথিওপিয়াকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে জেনাওয়ি দুইবার সোমালিয়ায় বিদ্রোহ দমনে সেনা পাঠান। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও রয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এ এফপি।

No comments

Powered by Blogger.