সম্পাদক সমীপে

টোকাই মাদকাসক্তদের রক্ষা করুন দেশের বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে পথেঘাটে, হাঁটে, লঞ্চঘাটে, রেল স্টেশন ও বাস স্টেশনগুলোতে একশ্রেণীর শিশু-কিশোর টোকাই যাদের বাবা-মা নেই তারাও আজ নেশার রাজ্যে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছে। এসব অবুঝ পথশিশুদের রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের।


এদেরকে মাদকাসক্ত লোকজন জোরপূর্বক নেশা করায় এবং পরে ভাঙ্গারী দোকানের মালামাল সংগ্রহে ব্যবহার করে।
এ সব পথশিশু নিষ্পাপ। এদের কোন দোষ নেই। এরা পেটের জ্বালায় রাস্তাঘাটে যা পায় তাই খায় এবং পথেঘাটেই ঘুমায়। অথচ তাদের দেখার কেউ নেই। এরাই বড় হয়ে বড় সন্ত্রাসী এবং ডাকাত হয়ে থাকে। এদের কোন ভয়ঢর নেই। প্রয়োজনে এরা খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। এনজিওসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যাতে এদের রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেÑএটাই কামনা করছি।

মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী
ধানম-ি, ঢাকা।

দেশ সবুজে সাজাই
প্রিয় মাতৃভূমিকে সবুজ বিপ্লবে পরিণত করতে হলে ৭ কোটি সক্ষম মানুষের ১৪ কোটি হাতকে কাজে লাগাতে হবে। প্রত্যেক মানুষ যদি দুটি করে গাছ লাগায় তাহলে প্রিয় স্বদেশ ভূমি সবুজে ভরে যাবে। পরিবেশবান্ধব ফলদ এবং ঔষধি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে পরিবর্তিত বৈশ্বিক আবহাওয়া থেকে আমরা এই ধরিত্রিকে অনেকখানি বাঁচাতে পারি। তাই আমরা একটি সেøাগানে একতাবদ্ধ হই যে, বেশি করে গাছ লাগাই, প্রিয় দেশ সবুজে সাজাই’।
এতে দেশের মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হবেন। অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী এবং বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণের ফলে নানা রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে পারি। তাই আসুন আমরা সবাই সারা দেশে গাছ লাগিয়ে সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

রণজিত মজুমদার
চট্টগ্রাম।

রোগী ধরার ফাঁদ
দেশের সরকারী হাসপাতালগুলোতে অব্যবস্থাপনার কোন শেষ নেই। বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভোগান্তি আরও বেশি। এবার মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে দেখা দিয়েছে নানা অনিয়ম ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বিশেষ করে বহির্বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকরা দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের পদে পদে হয়রানি করছেন। হাসপাতালের নিজস্ব প্যাথ-ল্যাবে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ কমিশন লাভের আশায় রোগীদের পাঠিয়ে দেয়া হয় আশপাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্যাথ-ল্যাব সেন্টারে। এসব সেন্টার সাধারণত পরীক্ষার রিপোর্ট সন্ধ্যায় দিয়ে থাকে, যখন আর হাসপাতাল খোলা থাকে না। এর মানে রোগীদের চিকিৎসকদের নিজস্ব চেম্বারে যাবার ব্যবস্থা করা।
এমনকি বেসরকারী প্যাথ-ল্যাবের ঠিকানা সংবলিত ভিজিটিং কার্ড রোগীদের ধরিয়ে দেয়া হয়। অর্থাৎ চিকিৎসকরা বেসরকারী সেন্টার থেকে যেমন মোটা অঙ্কের কমিশন পান, অন্যদিকে নিজস্ব চেম্বারে ৫০০ টাকা ফি নিয়ে রোগী দেখতে পারেন। এভাবে সারা দেশেই রোগী ধরার ফাঁদ পাতা থাকে। দিনের পর দিন গ্রামাঞ্চল থেকে রোগীরা এসে এদের পাতা ফাঁদে পা দেন আর পদে পদে হয়রানির শিকার হন। ঠিক এভাবেই চলছে চিকিৎসার নামে রমরমা ব্যবসা। যত দ্রুত সম্ভব এ অনাকাক্সিক্ষত অবস্থার অবসান হওয়া দরকার। ডাক্তার ও রোগীর সম্পর্ক হওয়া উচিত মানবিক; এ কথাটি আমরা একদম ভুলে গেছি। এ কথা কি ভুলে যাওয়া উচিত?

জাহেদুর রহমান ইকবাল
পুরানা পল্টন, আজাদ সেন্টার, ঢাকা।

গ্যাস সংযোগ দিন
রাজশাহী নগরীর এ্যালুমিনিয়াম কারখানাগুলো থেকে উৎপাদিত পণ্য রাজশাহী ছাড়াও কয়েকটি জেলার চাহিদা মিটিয়ে থাকে। শহরের বিসিক শিল্প এলাকার কারখানাগুলোয় প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার কেজি বিভিন্ন এ্যালুমিনিয়াম পণ্য উৎপাদন করা হয়। তবে বর্তমানে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় রাজশাহীর এ্যালুমিনিয়াম কারখানাগুলো পিছিয়ে পড়ছে। কেননা উৎপাদন কাজ চালাতে হচ্ছে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে। নানা সমস্যার মধ্যে গ্যাস অন্যতম। শুধু গ্যাসের অভাবে গতি পাচ্ছে না রাজশাহীর এ্যালুমিনিয়াম শিল্প। ঢাকা অঞ্চলের কারখানাগুলোতে গ্যাস থাকার কারণে তাদের পণ্যের দাম তুলনামূলক কম। অন্যদিকে জ্বালানি তেলে কারখানা চালানোর কারণে রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা তেমন সুবিধা করতে পারছে না। গুণে ও মানে ভাল হলেও রাজশাহী অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এ্যালুমিনিয়াম শিল্পের বাজার ধরতে পারছে না। বাজারে এখন স্টেইনলেস স্টিল, প্লাস্টিক ও ম্যালামাইনের যে দাপট তাতে করে আগের তুলনায় এ্যালুমিনিয়াম পণ্যের বিক্রিও কমে গেছে। রাজশাহীর কারখানাগুলোতে গ্যাস সংযোগ পেলে পণ্যের মূল্য অর্ধেকে নেমে আসত। ফলে এই শিল্প বাজার ধরতে পারত। তাই ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প রক্ষার্থে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

মোহাম্মদ ছালামত প্রধান
মহাখালী, ঢাকা।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি করুন
এখন আমাদের প্রয়োজন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। প্রতিটি কর্মসংস্থান যেন হয় সরকারী উদ্যোগে। দেশে যে পরিমাণ মানুষ কর্মজীবন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের কাজে লাগানো গেলে দেশ আরও উন্নত হবে। পৃথিবীতে যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সেই জাতি তত বেশি উন্নত। আমাদের দেশকে উন্নত করতে হলে শিক্ষা ও কর্মের প্রতি প্রত্যেকের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
দিপু প্রামাণিক ও মোয়াজ্জেম
কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.