ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে কথা না বলার অনুরোধ কামরুলের

যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে ঈদের পর বিএনপি-জামায়াত জোট একটা মরণ কামড় দেয়ার চেষ্টা করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের সময় বিএনপি বাধা দিয়েছিল।


বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার রায় যাতে বাংলাদেশের মাটিতে না হয় সে জন্য ইনডেমনিটি জারি করেছিল। যুদ্ধাপরাধী বিচার যখন একটা পরিণতির দিকে এগুচ্ছে তখন তারা ঈদের পর মরণ কামড় দেবে। এ জন্য স্বাধীনতা পক্ষের সকল শক্তিকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস-২০১২’ উপলক্ষে শেখ রাসেল শিশু সংসদ আয়োজিত এক আলোচনাসভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুলতানা শাফির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম, কৃষক লীগের সভাপতি এমএ করিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে পরিষদের পক্ষ থেকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর আর কোন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করে না। কিন্তু আমাদের দেশে করে । কারণ আমরা এখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে বিতাড়িত করতে পারিনি। এখন পাকিস্তান নেই কিন্তু পাকিস্তানের সেই মদদদাতারা আছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাঁধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে।
এ বছরের মধ্যেই কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শেষ হবে এমন আশা প্রকাশ করে কামরুল বলেন, ট্রাইব্যুনাল স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। বিচার কাজ যেভাবে এগুচ্ছে তাতে এ বছরের মধ্যেই কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ শেষ হবে। এ সময় তিনি সবাইকে হতাশ হয়ে ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে কথা না বলতে অনুরোধ করেন।
আইন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা- একই সূত্রে গাঁথা। এ দুটি ষড়যন্ত্র আলাদা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়া তাঁর জন্মদিন পালন করেন। আসলে তাঁর জন্ম দিন তিনটা। ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের রক্তের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার এ জন্ম। সে রূপকথার ডাইনীর মতো জাতীয় শোক দিবসে তাঁর মিথ্যা জন্মদিন পালন করে উল্লাস প্রকাশ করে।

No comments

Powered by Blogger.