দুদকের মামলায় ডেসটিনি কর্মকর্তা আজাদ গ্রেপ্তার

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্য আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে রাজধানীর পল্টন এলাকার বাসা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।


পল্টন থানা সূত্র জানায়, সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে দুদকের কর্মকর্তারা পল্টনের স্কাউট মার্কেটের পেছনে আবুল কালাম আজাদের বাসায় অভিযান চালান। কলাবাগান থানায় দুদকের করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার আবুল কালাম আজাদকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পাঠান। এই মামলায় পাঁচ আসামির জামিন বাতিলের আবেদনের বিষয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে ৩০ আগস্ট শুনানি রয়েছে। ওই আবেদনের নিষ্পত্তির পর রিমান্ড বিষয়ে শুনানি হবে উল্লেখ করে মহানগর হাকিম আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, অভিযানে দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পল্টন থানার পুলিশও ছিল। গত ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় দুদকের দায়ের করা মামলায় আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন দুদকের দুই কর্মকর্তা বাদী হয়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদসহ ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলাকরেন।
দুই কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর: দুই মামলায় ডেসটিনির দুই কর্মকর্তার জামিনের আবেদন উপস্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই দুই কর্মকর্তা হলেন প্রকৌশলী শেখ তৈয়বুর রহমান ও নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সারওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, এই দুই কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

No comments

Powered by Blogger.