যেভাবে গণতন্ত্র কম বিপন্ন হবে by আতাউস সামাদ

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এ বছরের স্বাধীনতা পদক পুরস্কারে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত হচ্ছেন। তিনি বহু যুগ ধরে রাজনীতি করছেন আর আগাগোড়াই তা করেছেন আওয়ামী লীগে থেকে। ওই দলের পুনরুজ্জীবনেও তার বড় ভূমিকা আছে। বাংলাদেশের স্থপতি রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুইবার দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ, বিশেষত সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার ও সৈন্যরা, তত্কালীন ইপিআর-এর বাঙালি সদস্যরা ও বাঙালি পুলিশ ভাইয়েরা যখন পাকিস্তানের শয়তান সেনাশাসক ইয়াহিয়া খান ও তার হানাদার বাহিনীর কাপুরুষোচিত হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কয়েকদিন পর তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্যরা গণপরিষদ গঠন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন, তখন তারা প্রথমবার শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করেন। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টা তিনি পাকিস্তানে বন্দি থাকায় এ সময়ে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অবিচল ভক্ত সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানে মুক্তি লাভ করেন জুলফিকার আলী ভুট্টোর সিদ্ধান্তে, যে ভুট্টো মাত্র আগের বছরই ছিলেন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতার পরম শত্রু। কিন্তু ইয়াহিয়ার পতনের পর পাকিস্তানের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ভুট্টোর কোনো উপায় ছিল না বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি না দিয়ে। পাকিস্তানের উপর আন্তর্জাতিক চাপই তার মূল কারণ ছিল না, তার আসল কারণ ছিল যুদ্ধে বাংলাদেশে পরাজিত পাকিস্তানের প্রায় এক লাখ সৈন্যসামন্ত (তাদের সেনাপতি নিয়াজীসহ) এদেশে বন্দি হয়। ওই পাকিস্তানি সৈন্যদের সুরক্ষার জন্য যদিও তাদের মিত্র শক্তি ভারতের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ, তবু রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে সুস্থ দেহে বাংলাদেশে ফিরতে না দিলে প্রথমত পাকিস্তান তার বন্দি সৈন্যদের ফেরত পেত না এবং দ্বিতীয়ত তাদেরকে যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতো। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভুট্টোকে অচিরাত্ ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিত। সে যাই হোক, পাকিস্তান থেকে মুক্তির পর লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি প্রথমবারের মতো তার দেশে পদার্পণ করেন। এর ২৫ দিন আগেই ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, তাঁর দেশবাসী অকল্পনীয় সাহসিকতার সঙ্গে, অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট ও নির্যাতন হাসি মুখে সহ্য করে এবং অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করে ফেলেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শেষপ্রান্তে পাকিস্তান অকস্মাত্ ভারত আক্রমণ করে বসলে ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী মিত্রশক্তি হিসেবে বাংলাদেশের যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিল। ভারতের তত্কালীন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান বাংলাদেশে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের দলিল গ্রহণ করে জয়লাভে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ও জনগণের বিশাল ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। তিনিও বঙ্গবন্ধুর একান্ত অনুসারী ও ভক্ত ছিলেন। তবে দেশে প্রত্যাবর্তনের দু’দিনের মাথায় ১২ জানুয়ারি, ১৯৭২, শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতির পদে ইস্তফা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন ও নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন। (সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও জনাব তাজউদ্দিন আহমদ এতে মন্ত্রীর পদ পান।) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বিতীয়বার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদে দেশের সর্বময় ক্ষমতাসহ নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫ তারিখে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের সংবিধানের খোলনলচে পাল্টে দেয়া ও একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকারী ৪র্থ সংশোধনী পাস করানোর মাধ্যমে। ওই সংশোধনীর বলে দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) নামে সারা দেশের জন্য একটি মাত্র তথাকথিত জাতীয় দল রেখে দেশের সব দল অবলুপ্ত করেন। আওয়ামী লীগও বাকশালে মিশে যায় বা বিলীন হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দুঃখজনকভাবে সপরিবারে নিহত হওয়ার পর তারই মন্ত্রী ও দীর্ঘদিনের সহযোগী খোন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতির পদ অধিকার করে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ ওই একদলীয় শাসন পদ্ধতি ও বাকশাল বাতিল করেন। আর অক্টোবর ৩, ১৯৭৫ তারিখে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন ও ঘোষণা দেন যে, ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ সাধারণ নির্বাচন হবে। তবে নভেম্বর ৪, ১৯৭৫ ও নভেম্বর ৭, ১৯৭৫, আবার অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের ফলে তখন আর রাজনীতি ফিরে আসেনি। পরে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও প্রক্রিয়া আবার চালু হয় অতি ধিরগতিতে। এর এক পর্যায়ে জেনারেল জিয়া ঘোষণা করেন যে, রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম পুনরায় আরম্ভ করার জন্য দলগুলোকে সরকারের কাছে নিবন্ধনকৃত হতে হবে। পিপিআর নামে পরিচিত ওই ব্যবস্থার আওতায় রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ অনুমোদন পায় নভেম্বর ৪, ১৯৭৬ তারিখে। যতদূর মনে পড়ে অনুমোদন পাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে পিপিআর অনুযায়ী আওয়ামী লীগের হয়ে আবেদন করেছিলেন বেগম সাজেদা চৌধুরী। তাই বাকশালের কবল থেকে বেরিয়ে এসে আওয়ামী লীগের পুনরুজ্জীবনে তার বড় ভূমিকা আছে। তিনি ১৯৭০ সালে মহিলা আসন থেকে জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন, অর্থাত্ আমাদের গণপরিষদেরই সদস্য ও আমাদের আদি সংবিধানটি যারা প্রণয়ন করেছেন তাদের মধ্যে একজন। ২০০১ সালে তিনি শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় বন ও পরিবেশমন্ত্রী ছিলেন। এবার তিনি জাতীয় সংসদে উপনেতা। বলা চলে স্বাধীনতা পদক পাওয়া হবে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার স্বীকৃতিস্বরূপ। দীর্ঘকাল ধরে সুপরিচিত একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার কথার দাম অনেক। স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার পর তার কথার ভারও বাড়বে বলে ধরে নেয়া যায় অবশ্যই। বিভিন্ন বিষয়ে তাকে প্রায় রোজই যে মন্তব্য করতে হয় আশা করি তিনি এসব দিক বিবেচনায় রেখেই করবেন।
ওপরের কথাটা বলতে বাধ্য হলাম, কারণ কয়েক দিন আগে তিনি জাতীয় সংসদে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা ও এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জনাব মাহমুদুর রহমান সম্পর্কে এমন কিছু আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন, যা প্রথম ক্ষেত্রে তথ্যনির্ভর নয় এবং অনাবশ্যক ছিল। আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ঘটনাক্রম তাদের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। বিরোধী বিএনপি দলীয় সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ জাতীয় সংসদে জনাব মাহমুদুর রহমানের ওপর হাতুড়ি-হামলা ও সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন সম্পর্ক উদ্বেগ প্রকাশ করে বক্তব্য দিলে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী তার উত্তর দেন। যাতে তিনি বলেন যে, মাহমুদুর রহমানকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল কিন্তু তারপর তিনি আরও খারাপ ভাষায় লেখালেখি করছেন। আমার দেশ সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেন যে, পত্রিকাটি মিথ্যা কথা লেখে ও অসত্য খবর দেয়। জনাব মাহমুদুর রহমানকে এত এত সতর্ক করার পরও তিনি লন্ডনে গিয়ে দিনেদুপুরে ব্রিক লেনে আবার শারীরিক হামলার শিকার হলেন। ঢাকায় তার ও আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি এম আবদুল্লাহর ওপর যে হামলা হলো সেগুলোর কোনো তদন্ত হচ্ছে বলে মনে হয় না। লন্ডনে সংঘটিত জনাব মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার বিষয়টি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এক সফরকারী ব্রিটিশমন্ত্রীকে বলেছেন। এখন দেখা যাক লন্ডন পুলিশ সেখানকার রহস্যের কিনারা করে কিনা।
তবে আমার কিছু বলার আছে দৈনিক আমার দেশ নিয়ে। এই পত্রিকাটির জন্মলগ্ন থেকে এখানে পাঁচ বছর চাকরি করেছি। এখন করি না, তবে আজও পাঠক রয়ে গেছি। আর কিছু লেখালেখি করি। আমার অভিজ্ঞতায় বলে, আমার দেশ যেসব খবর প্রকাশ করছে তার বেশিরভাগেই সরকারি, আনুষ্ঠানিক বা বিশ্বাসযোগ্য সূত্র উল্লেখ করা থাকে। সাম্প্রতিক কয়েকটা উদাহরণ দেই। দিনকয়েক আগে আমার দেশ জানায়, বাংলাদেশে বিশাল আকারে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা চলছে। এ ব্যাপারে গত ১/১১-এর সরকার যে মোবাইল ফোন অপারেটরদেরকে মোটা অংকের জরিমানা করেছিল তাতেও এই ব্যবসা বন্ধ হয়নি। গত কয়েকদিনে বর্তমান সরকার দ্বারা পুনর্গঠিত বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে তিনটি পিএসটিএন ও অনেক আইএসপি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে প্রমাণ হয়, আমার দেশ সঠিক সংবাদ দিয়েছিল। দৈনিক আমার দেশ সপ্তাহ দুয়েক আগে রিপোর্ট করেছিল যে, বাংলাদেশ এ বছর শুকনো মৌসুমের শুরু থেকে গঙ্গার পানি হিস্যা ১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী যা প্রাপ্য তার চেয়ে কম পাচ্ছে। পত্রিকাটি এই খবর দিয়েছিল যৌথ নদী কমিশন সূত্র উল্লেখ করে। তদুপরি দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা জেআরসিকে জানিয়েছে যে, বাংলাদেশ ১৯৯৭ থেকে ১০ মার্চ ২০১০ পর্যন্ত সময়ে ফারাক্কায় চুক্তি থেকে কম পানি পেয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বা ভারত সরকার কেউই এই তথ্যের সত্যতা অস্বীকার করেনি। মাসখানেক কি মাস দেড়েক আগে আমার দেশ খবর দিয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় নেপালের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশ ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট চেয়েছে এবং ভারতও তাতে সম্মতি দিয়েছে বটে কিন্তু এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আগে থেকে নেপালকে কিছু জানায়নি। আমার দেশ পত্রিকার কূটনৈতিক সংবাদদাতা নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কাঠমান্ডুতে যে সাক্ষাত্কার নেন তাতে নেপালি মন্ত্রী সুজাতা কৈরালা একথা বলেছিলেন। পত্রিকার খবরে তার উদ্ধৃতি ছিল। বাংলাদেশ সরকার এ খবরও অস্বীকার করেনি। আমার দেশ পত্রিকা বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করে বাংলাদেশে হাজতে ও জেলখানায় আটক ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে—এই রিপোর্ট করে ও পরিসংখ্যান দেয়। পরবর্তী সময়ে মার্কিন সরকারের এবারের বাত্সরিক মানবাধিকার রিপোর্টে একই কথা বলা হয়। দৈনিক আমার দেশ ২০০৯ সালের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের ও তার অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের লোকেরা প্রথমে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের যে নিপীড়ন করছিল ও পরে নিজেদের মধ্যে যে সহিংস সংঘর্ষ বাধাচ্ছিল সেই সম্পর্কে নিয়মিত, যেখানে সম্ভব সেখানে সচিত্র, প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এখন তো বর্তমান সরকারের সমর্থক বা এর প্রতি সহানুভূতিশীল পত্রিকাগুলো এসব সহিংসতার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে লিখছে যে, সরকারও নাকি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তো আমার দেশ পত্রিকা দোষ করল কী?
আমাদের অনুরোধ যে, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মতো সম্মানিত ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতা তার সরকার বা দলের সমালোচনা বলে মনে হয় এমন সংবাদ বা মন্তব্য মনোযোগ দিয়ে পড়ে, তার সত্যাসত্য উপলব্ধি করে বা যাচাই করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন এবং তার দলের সদস্যদেরকেও একই ধরনের আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করবেন। এতে গণমাধ্যম উপকৃত হবে। গণতন্ত্র কম বিপন্ন হবে।
সবশেষে একটা কথা বলি। মহান শহীদ দিবস পার হলো, সামনে স্বাধীনতা দিবস। এই দুটি দিন উপলক্ষ করে অনেক তরুণ সাংবাদিক ও লেখক তথ্যের জন্য আমার মতো বৃদ্ধদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ও করছে। দেখতে পাচ্ছি ওরা অনেক ব্যাপারেই প্রকৃত ইতিহাস জেনে ফেলছে।

No comments

Powered by Blogger.