সাত কোম্পানি প্রায় ১১ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ গ্রহণের অনুমতি পেল

বেসরকারি খাতের সাতটি কোম্পানির ১০ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলারের বৈদেশিক ঋণের অনুমোদন দিয়েছে বৈদেশিক ও সরবরাহকারী ঋণ অনুমোদনসংক্রান্ত বাছাই কমিটি। প্রতি ডলারের গড় বিনিময়মূল্য ৮০ টাকা ধরলে দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৭৪ কোটি টাকা।


গতকাল মঙ্গলবার কমিটির সভায় এই ঋণ অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক ও গভর্নর আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি খাতের যেসব কোম্পানির বিপরীতে এই ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে সেগুলো হলো: সিলভান এগ্রিকালচার, বঙ্গ বিল্ডার্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, ইউনিভার্সেল ম্যান্সওয়্যার, ডিএনভি ক্লথিং ও আরআর ইম্পেরিয়াল ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড জেনেসিস।
এসব কোম্পানির মধ্যে সিলভান এগ্রিকালচার প্রায় আড়াই কোটি ডলার, বঙ্গ বিল্ডার্স দুই কোটি, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ও এমআই সিমেন্ট দেড় কোটি, ইউনির্ভাসেল ম্যান্সওয়্যার ৫০ লাখ, ডিএনভি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ নেবে। বাকি প্রায় আড়াই কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নেবে আরআর ইম্পেরিয়াল ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড জেনেসিস নামের কোম্পানিটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত লন্ডন আন্তব্যাংক সুদ হারের (লাইবর) সঙ্গে অতিরিক্ত সাড়ে চার শতাংশ যোগ করে এই ঋণের সুদ নির্ধারণ করা হয়েছে। সব ঋণের মেয়াদ পাঁচ বছর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, বৈদেশিক এই ঋণ অনুমোদনের ফলে তা ডলারের বিনিময় মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও লেনদেনের ভারসাম্যের ঘাটতি কমাতে সহায়তা করবে। এ রকম আরও বেশ কিছু বৈদেশিক ঋণ অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে।
বৈদেশিক এই ঋণের বিষয়ে জানতে চাইলে এমআই সিমেন্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, এই ঋণের টাকায় একটি জাহাজ কেনা হয়েছে, যা ইউরোপে চলাচল করছে। প্রতিদিন এই জাহাজ থেকে আয় হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ হাজার মার্কিন ডলার। এই আয় থেকে ঋণের সুদ পরিশোধ করা হবে। সেই সঙ্গে এতে ৩০-৩৫ জন বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হবে।

No comments

Powered by Blogger.