পদ্মা সেতু প্রকল্প ও বাংলাদেশের হালের রাজনীতি by মুহম্মদ শফিকুর রহমান

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে কি হয়নি এর চেয়ে বড় প্রশ্ন বিশ্বব্যাংক হঠাৎ বাংলাদেশের ব্যাপারে এত কঠোর এবং বৈরীভাবাপন্ন হলো কেন? অথচ বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করে সে সব দেশের অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানো এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে সহায়তা করা।


যে কারণে বিশ্বব্যাংককে বলা হয় সবচেয়ে বড় ‘উন্নয়ন সহযোগী’ বা সধলড়ৎ ফবাবষড়ঢ়সবহঃ ঢ়ধৎঃহবৎ. এই উন্নয়ন সহযোগী বন্ধুর হঠাৎ ক্ষেপে যাওয়ার পেছনে তিনটি কারণ বা লক্ষ্য থাকতে পারে:
এক. আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকারের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পথ রুদ্ধ করা।
দুই. এই পথে বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির মঞ্চ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আবারও তাদের গাড়িতে শহীদের রক্তরঞ্জিত পতাকা দিয়ে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া।
তিন. এবং নোবেল লরেট প্রফেসর ড. ইউনূসকে পুনরায় গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে বহাল করা।
বিশ্বব্যাংক তাদের এই লক্ষ্য অর্জনে কতখানি সফল হবে না হবে সে জন্য আরও দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে। এই দেড় বছরে পদ্মায় অনেক পানি গড়াবে । অনেক জায়গায় চর পড়বে আবার কোথাও কোথাও প্রমত্তা রূপ ধরে মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ, গোয়ালের গরু পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তখন আজকে যাঁরা উল্লাস করছেন বা যাঁরা মন খারাপ করে বসে আছেন তাঁরা কে কোথায় থাকবেন সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের বিশেষ করে পশ্চিম-দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের সেতু। যার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। এখানেই যত গোলমাল। আজ যদি খালেদা জিয়া বা তাঁর রাজাকার-আলবদর বেষ্টিত সরকার ক্ষমতায় থাকত তাহলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো বলে আমি মনে করি। কারণ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলে কতগুলো কাজ অবাধে হতে পারে। চরিত্রগতভাবে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোটে ও নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের আদর্শ-উদ্দেশের পরিপন্থী কোন দল বা নেতা কেউ নেই। এদের জন্মই হয়েছে বিশ্বব্যাংকের উদর হতে। আর এ কারণেই দেখা যায়, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে:
১. বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটে।
২. বাংলাদেশের ভূখ-ে ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফা ও অন্যরা জামাই আদর পায়।
৩. ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশের মাটিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৪. খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে কুখ্যাত রাজাকার-আলবদর নারী ধর্ষণকারী এবং ধর্ষণের জন্য নারীদের পাকি বর্বরদের হাতে তুলে দেয়া পাপিষ্ঠদের জন্য বাংলাদেশ অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।
৫. খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে একাত্তরের গণহত্যা ও বুদ্ধিজীবী হত্যায় পাকিদের সহযোগী জামায়াত-শিবিরের উত্থান ঘটে।
৬. খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে ঐ আলবদরদের গাড়িতে শহীদের রক্তরঞ্জিত পতাকা তুলে দিয়ে একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন জাতিকে অপমানিত করা হয়, তেমনি তাদের বিকৃত উল্লাস দেশময় এক অসহনীয় পরিবেশের সৃষ্টি করে।
৭. খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির আখড়া হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবন সৃষ্টি হয়।
৮. দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়।
৯. খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ আবার খাদ্য ঘাটতি দেশে পরিণত হয়।
১০. খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে দ্রব্যমূল্য বাড়ে কিন্তু মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে না।
১১. খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে দেশ সর্বনাশা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়।
১২. খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে একটি বড় উন্নয়ন কাজও হয় না। এমনিভাবে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ নীতি-আদর্শগতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী ধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এমনকি জাতি যে পাকিস্তানকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পরাজিত করেছে সেই পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা চলে। অর্থাৎ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকে না, বাঙালী জাতি আর বাঙালী থাকে না।
বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর এইডস সহযোগীরা অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেন, এটা করেছেন সেটা করেছেন কিন্তু এই ‘করেছেন’ এর একটি উদাহরণও দেখাতে পারবেন না। দুই একটি ক্ষেত্রে হয় শেখ হাসিনার নির্মাণ করা অথবা এরশাদের নির্মিত স্থাপনার উদ্বোধন করার দাবি করতে পারেন। এর বেশি কিছু না।
কদিন আগে একটি টিভি চ্যানেলে দেখলাম বেগম খালেদা জিয়া বলছেন, ক্ষমতায় গেলে দুটি পদ্মা সেতু বানাবেন। কিন্তু তিনি তো দুই মেয়াদে (ভোটারবিহীন আরেকটি দেড় মাসের মেয়াদও রয়েছে) ক্ষমতায় ছিলেন, কই পদ্মা সেতু দূরে থাক একটি বড় কাজও তো দেখা গেল না। এখন কি তবে খুশিতে দুই পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা বলছেন? টার্গেটটা কি? টার্গেটটা হলোÑ বিশ্বব্যাংকের বৈরিতার কারণে শেখ হাসিনার আমলে পদ্মা সেতু হচ্ছে না, তাই মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জনগণের ভোট বাগানোর পথ করা। এক্ষেত্রে সফল হতে পারলে অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে এবং তিনি ক্ষমতায় আসবেন। আর সঙ্গে সঙ্গে বিদেশে পলাতক দুর্নীতিবাজরা সব দেশে ফিরে আসবে এবং জনগণের সম্পদ লুটপাট করবে, বিদেশে পাচার করবে, আবার হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন গড়ে উঠবে । সেই গোলাম আযম-নিজামী-মুজাহিদ-সাকা-সাঈদীরা ফর ফর করে বেরিয়ে আসবে এবং আবার বাংলাভাই- ইংলিশভাই মুফতিভাই সৃষ্টি হবে, আলীম-মীর কাশেম আলী-কাদের মোল্লারা আবার সমাজে বুক ফুলিয়ে হাঁটবে। আবার হত্যা-ধর্ষণ-সন্ত্রাস লুট- চাঁদাবাজি অবাধে চলবে, গ্রেনেড হামলা করে বা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষ হত্যাকারীরা আড়াল হবে, সামনে আসবে অসহায় জজ মিয়ারাÑ কোন বিচার হবে না।
বস্তুত বেগম খালোদা জিয়া ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করেন কিনা এমন সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। জিয়া যেমন বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের পথে আইনী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিলেন, খালেদা জিয়াও তেমনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের আড়াল করার জন্য জজ মিয়াকে সামনে ঠেলে দেন। আর আজ তো বলেই দিচ্ছেন ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেবেন । প্রফেসর ড. ইউনূসও আবার গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির রিভলভিং চেয়ারে বসবেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যরাতের ভিসি ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী হাসতে হাসতে চক্কর মারবেন।
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়নের চুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশকে একটি বড় ধরনের সঙ্কটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেÑ এটা স্বীকার করতে হবে যতটা না সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি সঙ্কট সৃষ্টি করেছে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির। সৈয়দ আবুল হোসেন দুর্নীতি করেছেন বিশ্বাস করতে চাই না কিন্তু দুর্নীতি করেছেন কি করেননি এটিও এখনও ঠিক হয়নি। বরং তিনি বর্তমান সরকারের গায়ে মিথ্যা হলেও দুর্নীতির একটা দাগ লাগিয়ে দিয়েছেন এটা দেশের বিরাট সংখ্যক মানুষ বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির ক্ষেত্রে এটা একটা বিরাট সঙ্কট মানতেই হবে। এই যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যশস্য উৎপাদন ও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আয় বৃদ্ধি সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সংসদের মাধ্যমে গ্রহণ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো, প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুত উৎপাদনের মাধ্যমে সঙ্কট মোকাবেলা, জিডিপি-রফতানি আয় বৃদ্ধি ইত্যাদি সাফল্যের মধ্যেও একটি ব্যর্থতার আঁচড় দিয়ে দিয়েছে। কারণ, বর্তমান শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার একটি রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। এ ধরনের সরকার জবাবদিহিমূলক এবং প্রতিটি নির্বাচনে তাকে জবাবদিহি করতে হয়। এই সরকারকেও আগামী নির্বাচনে জবাবদিহি করতে হবে। এবং এখন থেকেই তা শুরু করতে হবে। কিন্তু শেখ হাসিনার চারপাশের স্যুটেড-বুটেড কর্তারা নেত্রীর এক ধমকে কোট-টাই ছাড়লেও চরিত্র পাল্টেছে বলে মনে হয় না। এমনকি আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন সংস্থার চরিত্রও পাল্টেচ্ছে বলা যায় না। তারা একদিকে সমর্থনের সুবাদে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে অথচ এই সুযোগ সুবিধার প্রচারগুলোও করছে না । বরং আড্ডায়- রেস্তরাঁয় বসে সরকারের সমালোচনা করছে। আমি মনে করি যে- যেক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা আছে সেগুলোর গঠনমূলক সমালোচনা হোক তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু সাফল্যগুলোও তো তুলে ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো বিএনপি। তার একদম সর্বকনিষ্ঠ কর্মীটি পর্যন্ত দলকে, দলের নেতৃত্বকে কখনও সমালোচনা করে না। তারেক-কোকের মতো প্রমাণিত দুর্নীতিবাজকেও সমর্থন করেই ক্ষান্ত হয় না, ডাহা ডাহা মিথ্যা মিলিয়ে তাদের ভাবমূর্তি তুলে ধরে, নিজ পকেটের পয়সা খরচ করেও। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগাররা বিশেষ করে থানা-জেলার নেতারা নিজ দলের বা নেতাদের ভাবমূর্তি তুলে ধরা তো দূরের কথা বরং দলীয় পদও বিক্রি করে। গঠনমূলক আত্মসমালোচনা খারাপ কিছু নয় কিন্তু যে আত্মসমালোচনা প্রতিপক্ষের হাতে জাতীয় আদর্শ-নীতি ও সার্বভৌমত্বকে ঘায়েল করার অস্ত্র তুলে দেয়, সে আত্মসমালোচনা নিজেদের মধ্যেই করা ভাল, বাইরে প্রকাশ্যে নয়। অথচ কিছু অযোগ্য অবাঞ্ছিত ব্যক্তি দলে ও সরকারে ঢুকে পড়ে শেখ হাসিনার সরকারের বিশাল সাফল্য এবং তাঁর কলজয়ী প্রাজ্ঞ নেতৃত্বকেও প্রশ্নের সম্মুখীন করছে। একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল ও সরকারের কাছেই প্রত্যাশা করে, যে কারণে সামান্য ভুলও বাংলার মানুষকে আহত করে। পক্ষান্তরে বিএনপির কাছে কোন প্রত্যাশা করে না, তাই তারেক-কোকোর মহাচুরিও মানুষকে আহত করে না।
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন চুক্তি বাতিলের পর বন্ধু প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান, সাংবাদিক স্বদেশ রায় বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং এর তত্ত্ব ও তথ্যগত ব্যাখ্যা করেছেন। আমি একটা জিনিস তুলে ধরতে চাই সেটি হচ্ছে শেখ হাসিনার বক্তৃতা-বিবৃতি দেখেশুনে মনে হচ্ছে আমরা যতটা ঘাবড়ে গেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা মোটেই ঘাবড়াননি। বরং তাঁকে পড়ভরফবহঃ বা আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে। যে কারণে একমাত্র তিনি বলতে পারেন ‘বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করলেও আমরা আমাদের নিজেদের অর্থ দিয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণ করব’ এই আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য কেবল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাই দিতে পারেন। তাঁর দুশ্চিন্তামুক্ত চেহারার মধ্যে একটা আত্মপ্রত্যয়ী সাহস রয়েছে বলেই তাঁকে এখনও শতকরা ৭৭ ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে। অতীতের দিকে তাকালেও দেখতে পারব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, শেখ ফজলুল হক মণিকে হত্যার পর একাত্তরের পরাজিত শক্তি ক্ষমতায় এসে একদিকে যেমন বাংলাদেশকে পরিত্যক্ত পাকিধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অপরদিকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার যে ষড়যন্ত্র ক্রিয়াশীল ছিল তা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে শেখ হাসিনাই ২১ বছর পর এই আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। এখন চলছে দ্বিতীয় মেয়াদÑ দলকে শক্তিশালী করতে পেরেছিলেন বলেই এবং সঠিক পথে পরিচালিত করতে পেরেছিলেন বলেই শেখ হাসিনা সফল হয়েছেন। দলের অভ্যন্তরে ঘাপটি মারা ইঁদুরগুলো তাড়াতে পারলে আরও সাফল্য ঘরে আসত। ভবিষ্যতের পথও সুগম হবে।
মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ-গবেষক প্রফেসর ড. আবুল বারকাতের গবেষণায় মৌলবাদী অর্থনীতির যে হাজার হাজার কোটি টাকার চিত্র ফুটে উঠেছে, তা নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগের জন্য একটা হুমকি। বিশেষ করে এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করার কাজে। এই মৌলবাদী অর্থভা-ার এখন ব্যবহৃত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে প্রচারের কাজে। ইতোমধ্যেই তার দু’-একটি আলামত সমনে এসেছে। এ বিষয়টি মোটেই অবহেলা করা যাবে না।

ঢাকা, ৬ জুলাই, ২০১২
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

No comments

Powered by Blogger.